আসছে মে মাসে যৌথ সামরিক মহড়া করবে বাংলাদেশ ও চীনা সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) চীনের জাতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দুই পক্ষের সম্মতির ভিত্তিতে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) একটি কন্টিনজেন্ট যৌথ মহড়ায় যোগ দিতে মে মাসের শুরুর দিকে বাংলাদেশে সফর করবে।
সিনহুয়া’র প্রতিবেদনে বলা হয়, সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা ও শান্তি স্থাপনের প্রেক্ষাপটে জাতিসংঘের যে ব্যবস্থা রয়েছে, তারই ভিত্তিতে ওই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। সেনারা যৌথভাবে বাসে জিম্মিদের উদ্ধার এবং সন্ত্রাসী আস্তানায় অভিযানের আদলে মহড়া চালাবে।
চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, এটি চীন ও বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর সমন্বয়ে প্রথম যৌথ প্রশিক্ষণ হতে যাচ্ছে। যা দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও বন্ধুত্ব বৃদ্ধি এবং কার্যকর সহযোগিতাকে আরও গভীর করার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
এদিকে, বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর ভারতের দিল্লিতে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে সম্ভাব্য ওই মহড়ার খবর নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জসওয়াল বলেন, এ সংক্রান্ত বিষয়ে আমরা বহুবার আমাদের কথা জানিয়েছি। আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্রে অথবা অন্য কোথাও সব ধরনের ঘটনার ওপর আমরা নজর রাখি। বিশেষ করে সেই ধরনের ঘটনা, যা আমাদের অর্থনীতি ও নিরাপত্তার ওপর যা প্রভাব ফেলতে পারে।
এ ধরনের বিষয়ে ভারত ‘প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ’ নিয়ে থাকে বলেও তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন রণধীর।