বিশ্বের দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় আজ প্রথম স্থানে রয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। শুক্রবার সকাল ৯টা ৮ মিনিটে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে ঢাকার বায়ুর স্কোর ছিল ২৩৯, যা খুব অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
বিশ্বের ১০০টি দেশের মধ্যে ২২৩ স্কোর নিয়ে বায়ু দূষণের এ তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। ২১৩ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের দিল্লি। চতুর্থ স্থানে রয়েছে ইরাকের বাগদাদ, স্কোর ১৮৭। পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভারতের মুম্বাই, স্কোর ১৮৫।
প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই স্কোর যা একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে তথ্য দেয়। একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ এবং ওজন (ও৩)।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাতাসে প্রতি ঘনমিটারে দুই দশমিক পাঁচ মাইক্রোমিটার ব্যাসের বস্তুকণার পরিমাণ (পিপিএম) যদি শূন্য থেকে ৫০ এর মধ্যে থাকে, তাহলে ওই বাতাসকে বায়ু মানের সূচকে (একিউআই) ‘ভালো’ বলা যায়। এই মাত্রা ৫১-১০০ হলে বাতাসকে ‘মধ্যম’ মানের ও ১০১-১৫০ হলে ‘বিপদসীমায়’ আছে বলে ধরে নেওয়া হয়। আর পিপিএম ১৫১-২০০ হলে বাতাসকে ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১-৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ ও ৩০১-৫০০ হলে ‘বিপজ্জনক’ বলা হয়।
বায়ু দূষণ মানুষের গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। এই পরিস্থিতি শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য খুবই ক্ষতিকর। দীর্ঘদিন ধরে বায়ুদূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
২০১৯ সালের মার্চ মাসে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস হলো- ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণ সাইটের ধুলাবালি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বায়ু দূষণের ফলে স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যানসার এবং তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের কারণে মৃত্যুহার বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে বিশ্বব্যাপী প্রতি বছর আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষ মারা যায়।