আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, কোনও নিষেধাজ্ঞা নিয়ে উদ্বেগ নেই আওয়ামী লীগের। সংবিধান মেনেই আমরা স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পথে এগিয়ে যাচ্ছি। এখানে নিষেধাজ্ঞা আসবে কেন? প্রশ্ন তুলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, নিষেধ্জ্ঞা এলে বিএনপির ওপর আসা উচিত।৷ তারা নাশকতা করছে, চোরাগোপ্তা হামলা করছে। এগুলো সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে বাধা। যুক্তরাষ্ট্র যদি নিষেধাজ্ঞা দিতে চায় তাহলে একমাত্র বিএনপি ও তার দোসররাই নিষেধাজ্ঞা পাওয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে।
ব্রিফিংয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, পোশাকখাতের শ্রমিকদের নিজেদের স্বার্থে ব্যবহারের পাঁয়তারা চলছে। দেশেও আছে, বিদেশেও আছে। পোশাকখাতের স্বার্থেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শ্রমিকদের বেতন বাড়িয়েছেন। এ খাতের শ্রমিকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বর্তমান সরকার আন্তরিক। পরবর্তীতেও এ সরকার ক্ষমতায় আসলে সংসদে নতুন শ্রম আইন প্রণয়নে ব্যবস্থা নিবে। এ নিয়ে পানি ঘোলা করার দরকার নেই। যারা করছেন নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারে করছেন।
জোটের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, যা হবার ১৭ তারিখের আগে হবে। এরপর আর এ সমস্যা থাকবে না।
৩২ আসনে আওয়ামী লীগের কোনও স্বতন্ত্র প্রার্থী নেই- এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখানে মনোনয়ন বাতিলে আওয়ামী লীগের কোনও চাপ নেই। নির্বাচন কমিশন তার আচরণবিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছে। দেশের বিচার ব্যবস্থাও স্বাধীন। ফাইনাল সিদ্ধান্ত নিয়ে আসলে আওয়ামী লীগ বাধা দিবে না। এবার ভোটার উপস্থিতি ভালো হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কোনও বাধা বিপত্তি, হুমকি, নাশকতা, অগ্নি সন্ত্রাস এ নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাধা হতে পারবে না। যারা নির্বাচনে বাধা দিতে আসবে নির্বাচনমুখী ভোটাররাই তাদের প্রতিহত করবে। আজকে বিএনপি ও তার সহযোগীরা নির্বাচনে অংশ নেয়নি। এরপরও নির্বাচন নিয়ে উৎসাহ উদ্দীপনা, জাগরণের কমতি নেই। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দেয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
