মিধিলি’র আঘাতে নোয়াখালীতে সহস্রাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র আঘাতে নোয়াখালীতে এক হাজার ১২৫টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকালে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান।

তিনি বলেন, সব উপজেলার মধ্যে দুর্যোগ কবলিত ইউনিয়ন সংখ্যা ৩৪টি। আর দুর্গত মানুষের সংখ্যা ৬ হাজার ৭৬০ জন। জেলায় মোট ১ হাজার ১২৫টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। তার মধ্যে আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে ৯১৩টি বাড়ি এবং সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে ২১২টি বাড়ি। তাদের পুনর্বাসনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হবে।

জানা গেছে, শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে নোয়াখালীর উপকূল জুড়ে তাণ্ডব চালায় ঘুর্ণিঝড় মিধিলি। এতে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে হাতিয়া উপজেলায়। এছাড়া জেলায় সহস্রাধিক গাছপালা উপড়ে পড়েছে, ক্ষতি হয়েছে বিস্তীর্ণ ফসলের খেতের। ঝড়ের কারণে বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ে জেলার দ্বীপ উপজেলা হাতিয়া, সুবর্ণচর, কোম্পানীগঞ্জ, কবিরহাট ও জেলা শহর। বিদ্যুৎ না থাকায় মোবাইল নেটওয়ার্কের ভোগান্তিতে রয়েছে মানুষ।

নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি নোয়াখালীর জেনারেল ম্যানেজার মো. জাকির হোসেন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী বাতাসের কারণে আমাদের বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপনে কষ্ট হচ্ছে। আমাদের কর্মীদের দ্রুত কাজের ফলে বেশিরভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছি। অবশিষ্ট এলাকায় সংযোগ স্থাপনে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত আছে। আশাকরি খুব দ্রুতই বিদ্যুৎ সেবা পৌঁছে দিতে পারব।

বিভিন্ন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে বিভিন্ন এলাকার ঘরবাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বড় গাছ ভেঙে পড়েছে। যেকোনো পরিস্থিতিতে উপজেলা প্রশাসন তৎপর রয়েছে।