ইউপিআর শুনানিতে যোগ দেয়া ১১১টি দেশের মধ্যে ৯০ শতাংশ দেশ বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা শেষে সমর্থন করেছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) জেনেভায় ইউপিআরে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা শেষে ভার্চুয়ালি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, পর্যালোচনা সভায় বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরা হয়েছে। অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়টিতেও সরকারের অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে। অবাধ,সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য তাগিদ এসেছে। সভায় বেশ কিছু সুপারিশ এসেছে, সেগুলো পরে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। নির্বাচন প্রসঙ্গে বাংলাদেশের অবস্থান স্পষ্ট করে বলা হয়েছে। সংলাপের বিষয়ে কোন কথা আসেনি। এছাড়া বেশকিছু দেশের পক্ষ হতে শ্রমিক অধিকার, নির্বাচনসহ, নারী নির্যতনসহ বেশ কিছু প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছিলো সেগুলোর জবাবে দেয়া হয়েছে।
সভায় জলবায়ু পরিবর্তন, নারীর ক্ষমতায়ন ইত্যাদি বিষয়ে প্রায় ৯০ শতাংশ দেশ বাংলাদেশের অবস্থান নিয়ে ভুয়সী প্রশংসা করেছেন বলেও জানান মন্ত্রী।
এছাড়া সভায় উত্থাপিত প্রশ্নের উত্তরে খালেদা জিয়ার বিষয়ে বাস্তবতাকে তুলে ধরে পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করা হয়েছে বলেও জানান আইনমন্ত্রী। এছাড়া গুম, খুন বিষয়ে করা প্রশ্নেরও যথাযথ ব্যাখ্যা করা হয়েছে। মন্ত্রী জানান, এর পরে সভায় আর কেউ কোন প্রশ্ন করেননি। এছাড়া সভায় ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট এর বিষয়েও প্রশ্ন এসেছে। সাইবার নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সেটির পরিবর্তন আনার খবরটিও সভায় জানানো হয়েছে।
জেনেভায় অনুষ্ঠিত সভার ফলাফল হিসেবে সন্তুষ্টি নিয়ে সরকার কম চাপ অনুভব করছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, আমরা আগামীর বাংলাদেশকে আরও ভালো অবস্থানে দেখতে চাই। এজন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। এমনকি যে সকল দেশ ইউপিআর এ বিভিন্ন সময়ে শঙ্কা প্রকাশ করে আসে, এক্ষেত্রে বাংলাদেশ তাদের থেকে নিরাপদ অবস্থানে রয়েছে।