নরসিংদীতে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে বড় সার কারখানা উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (১২ নভেম্বর) দুপুর পৌনে ১টায় সুইচ টিপে ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা উদ্বোধন করেন তিনি।
এরপর দোয়া মোনাজাত শেষে মঞ্চে আসন গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী। ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা উদ্বোধন উপলক্ষ্যে সার কারখানা স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও সিলমোহর অবমুক্ত করেন শেখ হাসিনা।
এর আগে বেলা ১২টার কিছুক্ষণ আগে নরসিংদী পৌঁছান তিনি। বিকেল ৩টার দিকে নরসিংদী জেলার বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ও নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দেবেন। জনসভা শেষে সন্ধ্যা ৬টায় ঢাকার উদ্দেশে হেলিকপ্টারে উঠবেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১৮ সালের অক্টোবরে কারখানার নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ২০২০ সালে বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারি শুরু হলে প্রকল্পের অবকাঠামোর কাজ বাধাপ্রাপ্ত হয়। পরে একই বছরের ১৬ আগস্ট পূর্ণোদ্যমে কাজ শুরু হয়। যার দায়িত্ব পায় চীনের সিসি সেভেন এবং জাপানের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মিৎসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। এরপর ২০২২ সালের ২১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।
১১০ একর জমির ওপর নির্মিত প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকার ৪ হাজার ৫৮০ কোটি ২১ লাখ টাকা আর জাপান ও চীনের ঠিকাদারদের যৌথ কনসোর্টিয়াম ব্যাংক অব টোকিও-মিৎসুবিশি ইউএফজে লিমিটেড ও দ্য হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন লিমিটেড ১০ হাজার ৯২০ কোটি টাকার ঋণ দেয়।
দেশের খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিতে ইউরিয়া সারের চাহিদা মোটানো ও সুলভমূল্যে কৃষকদের কাছে সার সরবরাহ নিশ্চিত, আমদানি হ্রাস করে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টিতে এই কারখানা অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
উল্লেখ্য, নরসিংদীর পলাশে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ পরিবেশবান্ধব ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানায় এরই মধ্যে শুরু হয়েছে পরীক্ষামূলক উৎপাদন। জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব এই কারখানায় বছরে ৯ লাখ ২৪ হাজার মেট্রিক টন ইউরিয়া সার উৎপাদন হবে। দিনে উৎপাদন হবে ২ হাজার ৮০০ মেট্রিক টন। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে ১৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।