রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সফল বাস্তবায়নে রাশিয়া সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু। মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশকে সহায়তার মাধ্যমে দুই দেশের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি ইউরেনিয়াম হস্তান্তর অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি অংশ নেন। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমানের কাছে ইউরেনিয়াম আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক সংস্থা রোসাটমের মহাপরিচালক আলেস্কি লিখাচেভ। অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি যুক্ত ছিলেন ভার্চুয়ালি। ঐতিহাসিক এই কমিশনিংয়ের মধ্য দিয়ে ইউরেনিয়াম জ্বালানির যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ।
অনুষ্ঠানে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে রাশিয়ার বন্ধুত্বপূর্ণ সস্পর্ক বহু পুরনো। সমতা ও সম্মান এই সম্পর্কের ভিত্তি। যৌথ এই প্রকল্পের সফল বাস্তবায়নে সবসময় রাশিয়া পাশে থাকবে। ২০২৪ সালের প্ল্যান্টটির প্রথম ইউনিট ও ২০২৬ সালেই উৎপাদনে আসবে দ্বিতীয় ইউনিট। শিডিউল অনুযায়ী শেষ হবে এর নির্মাণকাজ।
পুতিন বলেন, এখানে ২০ হাজারেরও বেশি শ্রমিক কাজ করছে। এই প্রকল্পটির মাধ্যমে এখানকার মানুষের কর্মসংস্থান হচ্ছে। এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে পরিবেশ রক্ষা করবে, রূপপুরে এমন প্রযুক্তিই ব্যবহার করা করেছে রোসাটম। রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের পুরো লাইফটাইমে বাংলাদেশকে প্রযুক্তিগতসহ সব সহায়তা করবে রাশিয়া।
ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রকে যে সনদ আজ দেওয়া হলো, তার মাধ্যমে পারমাণবিক স্থাপনা হিসেবে স্বীকৃতি পাবে বাংলাদেশের প্রথম এই পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র। পুতিন বলেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রটিতে ২০ হাজারের বেশি মানুষ কাজ করছে, যাদের বেশিরভাগই বাংলাদেশি। তাছাড়া ভারতীয় বন্ধুরাও আমাদের সাহায্য করছে। দুই দেশের কর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে এবং নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যেই কাজ শেষ করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।