ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেছেন, থানার ভেতরে নিয়ে কাউকে মারধর করা বেআইনি। মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে নির্যাতনের স্বীকার ছাত্রলীগ নেতাকে দেখে আসার পর সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
এসময় ডিএমপি কমিশনার বলেন, শাহবাগ থানার ঘটনায় ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা নাঈম আহত হয়েছেন। আমি মূলত তার শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসার খবর নেওয়ার জন্য সহকর্মীদের নিয়ে তাকে হাসপাতালে দেখতে এসেছি। তার চিকিৎসার খোঁজ খবর নিয়েছি। সে এখনো বেশ কিছুটা অসুস্থ। তার আরও কয়েক দিন সময় লাগবে সুস্থ হতে।
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার তদন্তের জন্য গঠিত তদন্ত কমিটির কাজ শেষ হওয়ার আগে দু’জন অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এডিসি হারুনকে সরকার সাময়িক বরখাস্ত করেছে। শাহবাগ থানার পরিদর্শককেও (অপারেশন) থানা থেকে সরিয়ে লাইনওআরে পাঠানো হয়েছে।
খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর আমরা তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয়সহ অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করব। তদন্ত কমিটি ঘটনার সার্বিক বিষয়ে তদন্ত দেখবে কে কে দোষী এবং প্রকৃত ঘটনা কি, কেন ঘটনাটি ঘটল এবং কে কে কতটুকু দোষী। এসব বিষয়ে তদন্ত কমিটি আমাদের প্রতিবেদন দেবে। সেই প্রতিবেদন অনুযায়ী আমরা সরকারের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাঠাব। আমরা তদন্ত কমিটিকে দায়িত্ব দিয়েছি। তদন্ত কমিটি তদন্ত করে সার্বিক বিষয়ে প্রতিবেদন দিবে, তখন সার্বিক চিত্রটা আমাদের সামনে আসবে। আমরা প্রাথমিকভাবে দেখেছি একজন ছাত্রকে থানার ভেতরে নিয়ে মারধর করার বিষয়টি বেআইনি।
প্রসঙ্গত, রমনা বিভাগের সাবেক অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশীদ শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে আরেক নারী পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে বারডেম হাসপাতালে আড্ডা দিচ্ছিলেন। ওই সময় নারী কর্মকর্তার স্বামী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতাকে সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান। নারী কর্মকর্তার স্বামীও একজন সরকারি কর্মকর্তা। তার সঙ্গে এডিসি হারুনের বাগবিতণ্ডা হয়।
পরে এডিসি হারুন দুই কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতাকে শাহবাগ থানায় তুলে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করেন। এরপর তাদের অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়লে ওই দুজনকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।