সর্বোচ্চ শক্তি ও সহযোগিতা দিয়ে ২ সেপ্টেম্বর ঢাকার সুধী সমাবেশে বড় জমায়েত করতে চায় আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ। সংগঠনটির চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, ‘এই সমাবেশে শক্তি প্রদর্শন ও জনসম্পৃক্ততা সৃষ্টির মাধ্যমে আমরা বিরোধী শক্তিকে জানাতে চাই যে নির্বাচন পর্যন্ত রাজপথ আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী যুবলীগের দখলে থাকবে। তাই আমার নির্দেশ, আপনাদের সর্বোচ্চ জনবল নিয়ে এই সমাবেশে যোগদান করার প্রস্তুতি নেবেন।’
সোমবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যুবলীগের এক প্রস্তুতি সভায় এসব কথা বলেন সংগঠনের চেয়ারম্যান। ২ সেপ্টেম্বর সুধী সমাবেশ সফল করতেই এই প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। উল্লেখ্য, আগামী ২ সেপ্টেম্বর ঢাকা উড়ালসড়কের একাংশ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন বিকেলে প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগের আয়োজনে সুধী সমাবেশে অংশ নেবেন।
যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, সুধী সমাবেশ থেকে তিনটি বিষয় প্রতিষ্ঠিত হবে। প্রথমত, বিশ্বমন্দা মোকাবিলায় শেখ হাসিনার বিশ্বব্যাপী আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা ও সফলতা। দ্বিতীয়ত, যেকোনো নির্বাচনে ঢাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। লোকে বলে, যে দল ঢাকায় ভালো ফল করে, সেই দলই নির্বাচনে জয়ী হয়। তাই এই সমাবেশের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করা হবে। তৃতীয়ত, শক্তিশালী ভ্যানগার্ড হিসেবে যুবলীগের সর্বোচ্চ ভূমিকা প্রমাণ করবে।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো বড় বড় সমাবেশ করছে। এই জনসমাবেশগুলো করা হয় দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীদের দাঁতভাঙা জবাব দেওয়ার জন্য। সঞ্চালকের বক্তব্যে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান বলেন, ২ সেপ্টেম্বরের মহাসমাবেশের মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াতের সব ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙা জবাব দেবে যুবলীগ।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন মামুনুর রশীদ, খালেদ শওকত আলী, হাবিবুর রহমান, মোয়াজ্জেম হোসেন, সুব্রত পাল, মুহাম্মদ বদিউল আলম, শেখ ফজলে নাঈম, রফিকুল আলম জোয়ার্দার, কাজী মাজহারুল ইসলাম প্রমুখ।