ভৌগলিক অবস্থান ও নানা রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে অনেকদিন ধরেই উত্তেজনা বিরাজ করছে তাইওয়ান ও চীনের মধ্যে। তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বলে মনে করে চীন। তবে সেটির কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই বলে জানিয়েছে তাইওয়ান ও তার পশ্চিমা মিত্ররা, যাদের মধ্যে অন্যতম যুক্তরাষ্ট্র। এ ইস্যুতে আবার পরস্পর বিরোধী অবস্থান জানায় ওয়াশিংটন ও বেইজিং। এমনকি সামরিক খাত থেকে শুরু করে নানাভাবে তাইওয়ানকে সহায়তা করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। যেটি মোটেও ভালভাবে নেয়নি চীন। চলমান এসব উত্তেজনার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছেন উইলিয়াম লাই।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর, শনিবার যুক্তরাষ্ট্র পৌঁছান লাই। তাঁর এই সফরকে স্পর্শকাতর হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে এটি কোন পূর্ব নির্ধারিত সফর নয়। মূলত প্যারাগুয়ের প্রেসিডেন্টের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে সফরে বেরিয়েছেন। তবে যাওয়া-আসার পথে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রাবিরতি নিয়েছেন লাই।
লাইয়ের যুক্তরাষ্ট্র সফরের নিন্দা জানিয়েছে চীন। তাইওয়ানের কর্মকর্তাদের আশঙ্কা, এই সফরকে কেন্দ্র করে গণতান্ত্রিকভাবে শাসিত দ্বীপটির চারপাশে চীন তার সামরিক তৎপরতা বাড়িয়ে দিতে পারে। তবে তাইপে ও ওয়াশিংটন বলছে, এই ধরনের যাত্রাবিরতি একটি স্বাভাবিক বিষয়। এর জেরে চীনের ‘উসকানিমূলক’ কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার যুক্তি নেই। ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখালেও এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোন বিবৃতি দেয়নি চীন।