ক্যান্সারে আক্রান্ত চট্টগ্রামের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক ও একুশে পত্রিকার সম্পাদক আজাদ তালুকদার মারা গেছেন। ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে চারটায় রাজধানী ঢাকার বিআরবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৫ বছর।
তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি তপন চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক শামসুল ইসলামসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।
দুই বছরের বেশি সময় ধরে লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত আজাদ তালুকদার ভারতের মুম্বাইয়ের টাটা মেমোরিয়াল হসপিটালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। তার চিকিৎসার শুরু থেকে নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখেন চট্টগ্রাম-৭ রাঙ্গুনিয়া আসনের সংসদ সদস্য ড. হাছান মাহমুদ।
মুম্বাইয়ের টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে গত তিন জুলাই সর্বশেষ কেমোথেরাপি নিয়ে দেশে ফেরেন আজাদ তালুকদার। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে রাজধানীর বিআরবি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের বিশেষ নির্দেশনায় সেখানে তার চিকিৎসা চলছিল।
সাংবাদিক আজাদ তালুকদার ১৯৯৫ সাল থেকে বন্দরনগরীতে সাংবাদিকতা করে আসছেন। তিনি এর আগে একাত্তর টিভি, বৈশাখী টিভি, একুশে টিভি, অধুনালুপ্ত দৈনিক সকালের খবর, সাপ্তাহিক ২০০০, আন্তর্জাতিক ফিচার সংস্থা-সান ফিচার সার্ভিস, এফএম রেডিওসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে কাজ করেছেন। বর্তমানে একুশে পত্রিকা সম্পাদনার পাশাপাশি সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড, সাফল্য নিয়ে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) চট্টগ্রাম কেন্দ্রের বিভিন্ন অনুষ্ঠান নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ত্বরান্বিত করতে অনুসন্ধিৎসু এই সাংবাদিকের তুলে ধরা তথ্য-উপাত্ত জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করতে ভূমিকা রেখেছে ব্যাপক। ৭১ টিভিতে “রাজাকরের রোজনামচা” শীর্ষক ডকুমেন্টারি নির্মাণে একজন স্থানীয় সাংবাদিক হিসেবে তাঁর ভূমিকা ছিল অসামান্য।
বুধবার জোহরের নামাজের পর বায়তুল ফালাহ মসজিদে প্রথম জানাজে শেষে তার কফিন নেওয়া হবে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বরে। সেখানে দুপুর আড়াইটার দ্বিতীয় নামাজে জানাজা শেষে তাকে নেওয়া হবে গ্রামের বাড়ি উত্তর রাঙ্গুনিয়ায়। বাদে আসর তৃতীয় নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে তাকে।
