বিএনপি নিজেই বোল্ড আউট হয়ে গেছে: তথ্যমন্ত্রী

আওয়ামী লীগকে আউট করতে গিয়ে বিএনপি নিজেই বোল্ড আউট হয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। মঙ্গলবার (১ আগস্ট) বাংলাদেশ টেলিভিশন রংপুর উপকেন্দ্র পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, ‘তারা (বিএনপি) ঢাকা অবরোধ করতে চেয়েছিল। পরে তার নিজেরাই পালিয়ে গেছে। কাল (সোমবার) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির জনসভায় ফাঁকা মাঠ দেখে আমার নিজেরই লজ্জা লাগলো। টেলিভিশনে দেখেছি ১০ থেকে ১৫ হাজারের বেশি মানুষ হবে না। তারা বড় সমাবেশের ডাক দিয়েও মানুষ পায়নি। তাই তারা বড় মাঠে না গিয়ে নয়াপল্টনের সামনে জনসভা করতে চায়।’

বিএনপি একটি গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে বল প্রয়োগের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করতে চাচ্ছে অভিযোগ এনে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি গাড়ি পোড়াচ্ছে, মানুষ পোড়াচ্ছে, খুন করছে। তাদের এক নেতা কানাডায় রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করলে বিএনপিকে সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যায়িত করে আদালত তার আবেদন খারিজ করে দেয়। বিএনপির লজ্জা থাকা উচিত, পঞ্চমবারের মত তাদের সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দিল কানাডার আদালত। বিশ্বের অন্য দেশেও বিএনপি রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছিল, সেখানেও তাদের সন্ত্রাসী দল হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।’

বিএনপি নেতাদের আপ্যায়ন করার বিষয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘গেল ১৫ বছরে বিএনপি নেতাদের আদর-আপ্যায়ন করা হয়নি এটা সত্য নয়। যখন তারা গ্রেফতার হয়েছে তাদের ডিভিশন দেওয়া হয়েছে। যতদুর সম্ভব কারাগারে তাদের ভালো রাখার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গত ১৫ বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এত শক্তিশালী ছিল না। তাই জনগণ এ বিষয় জানত না। এটা আওয়ামী লীগের শিষ্টাচার। তবে এই শিষ্টাচার বিএনপির মধ্যে নেই। তাদের আদর-আপ্যায়ন করা হলো, আর তারা বের হয়ে আমাদের বিরুদ্ধে কথা বলল। বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তারা বেগম মতিয়া চৌধুরীকে রাসেল স্কয়ারে টানা হেঁচড়া করেছে, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাসিমকে লাঠিপেটা করেছে। তাদেরকে পুলিশ নির্বিচারে পিটিয়েছে কোনও সেবা যত্ন করেনি।‘

বুধবার রংপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন সভা প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আগামীকাল রংপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভাকে ঘিরে উৎসব মুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। জনসভাস্থলের বাহিরে কমপক্ষে আরও ১০ গুণ মানুষ উপস্থিত থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর জনসভা জনসমুদ্রে রুপ নেবে।‘

তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার দেশের প্রতিটি বিভাগে টেলিভিশন কেন্দ্র স্থাপন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সেজন্য একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। রংপুর বিভাগেও বাংলাদেশ টেলিভিশনের একটি পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্র স্থাপন করার কাজ হাতে নেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে এটি একনেকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পূর্ণাঙ্গ টেলিভিশন কেন্দ্র স্থাপিত হলে স্থানীয় শিল্পী, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবিরা তাদের প্রতিভা, দক্ষতা দেশব্যাপী তুলে ধরার সুযোগ পাবে।’

এর আগে তথ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ টেলিভিশন রংপুর উপকেন্দ্রে হাড়িভাঙ্গা ও আমলকি গাছের চারা রোপণ করেন। এ সময় বাংলাদেশ টেলিভিশন রংপুর উপকেন্দ্রের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

leave a reply