অক্টোবরে পর্যবেক্ষক পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন রাষ্ট্রদূত

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে অক্টোবর মাসের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র প্রাক নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল (প্রি অ্যাসেসমেন্ট ইলেকশন মনিটরিং টিম) পাঠাবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস।

মঙ্গলবার (১ আগস্ট) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এদিন বেলা ১১টা ৫ মিনিটের দিকে ইসি সচিবালয়ে আসেন পিটার হাস।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব:) মো: আহসান হাবিব খান, ইসির সচিব মো: জাহাংগীর আলম, যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ডেপুটি পলিটিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কাউন্সিলর আরতুরো হাইনস।

পিটার হাস বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি, একটি অবাধ সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য অক্টোবরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে একটি প্রাক নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দল (প্রি অ্যাসেসমেন্ট ইলেকশন মনিটরিং টিম) আসবে; যাদের নির্বাচন পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে।’

কারা আসবেন – এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘প্রাক নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলে থাকবেন ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইন্সটিটিউট, ন্যাশনাল রিপাবলিকান ইন্সটিটিউটের বিশেষজ্ঞরা; যারা নির্বাচন সম্পর্কে অগাধ জ্ঞান রাখেন।’

পিটার হাস বলেন, ‘বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রহ রয়েছে। কমিশন একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে পারে, যেন জনগণ তাদের প্রতিনিধি বাছাই করতে পারে।’

তবে পর্যবেক্ষকদল বাংলাদেশে কত দিন অবস্থান করবে – তা নিয়ে স্পষ্ট কিছু জানাননি তিনি।

ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় কূটনৈদিকেদর দেওয়া বিবৃতি ভিয়েনা কনভেনশন লঙ্ঘন কি না – জানতে চাইলে পিটার হাস বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যেকোনও মানবিক সংঘাতের বিরুদ্ধে অবস্থান করে। এটাই যুক্তরাষ্ট্রের নীতি। এতে ভিয়েনা কনভেনশ লঙ্ঘন হয়েছে বলে আমি মনে করি না।’

তিনি বলেন, ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আমরা একটি বৈঠক করেছিলাম, সেটা প্রায় এক বছর আগে। নির্বাচন কমিশন আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরা অনেকগুলো বিষয়ে কথা বলেছি। নতুন নিবন্ধিত দলগুলো নিয়ে, নিবন্ধন প্রক্রিয়া নিয়ে, তারা কীভাবে নিবন্ধন পেলো সেসব নিয়ে।’

পিটার হাসের বৈঠক প্রসঙ্গে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘চলমান রাজনৈতিক সংকটের সমাধানে রাজনৈতিকগুলোর মধ্যে সংলাপ প্রয়োজন। উনারা সেটা বিশ্বাস করেন। সংলাপ ছাড়া এ সঙ্কটগুলো আসলে রাজপথে মীমাংসা করার বিষয় নয়। কমিশন মনে করে, রাজনৈতিক দলগুলোর এক টেবিলে বসা উচিত, একসঙ্গে চা পান করা উচিত। তারপরে আলোচনা করে সঙ্কট নিসনের চেষ্টা করা উচিত।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য অনুকূল পরিবেশ প্রয়োজন। যে সঙ্কটটা বিরাজ করছে তা রাজনৈতিক। এর সঙ্গে আমাদের কাজের কোনো সংঘাত নেই। এ সমস্যাগুলো যদি রাজনৈতিকভাবে সমাধান হয়, তাহলে আমাদের জন্য নির্বাচন আয়োজন অনেক স্বস্তিদায়ক হবে, সেটাই আমরা জানিয়েছি।’

leave a reply