দেশ সেরা ব্যাটসম্যান তামিম ইকবালের অবসর বিষয়ে জলঘোলা হয়েছে বিস্তর। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত ওয়ানডে সিরিজে প্রথম ম্যাচে হারের পর ৬ জুলাই আচমকা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন তামিম। পরে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে অবসরের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করার পর দেড় মাস ছুটিতে আছেন তিনি। শারিরিক ও মানসিকভাবে চাঙ্গা হয়ে উঠার জন্যই এই ৬ সপ্তাহ জাতীয় দলের বাইরে থাকবেন ওয়ানডে অধিনায়ক। এই সময়ের মধ্যে পিঠের ইনজুরির চিকিৎসার জন্য দুবাই ও যুক্তরাজ্য যাবেন এই বাহাতি ব্যাটসম্যান।
বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের প্রধান জালাল ইউনুস বলেন, ‘বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখাতে তামিম দুবাই যাচ্ছে। সেখান থেকে জুলাইয়ের শেষ দিকে যুক্তরাষ্ট্রে যাবে। লন্ডনে দুটি মেডিকেল সেন্টারে তাঁর সঙ্গে অ্যাপয়নমেন্ট হয়েছে। এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপের জন্য খুব দ্রুতই ২৫ থেকে ২৬ জনের একটা প্রাথমিক স্কোয়াড হবে। তামিমের মেডিকেল রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর সেটি চূড়ান্ত করা হবে।’
এসময় তামিম ইকবালের অধিনায়কত্বের প্রশ্নের উত্তরে জালাল ইউনুস জানান, ‘আমরা তামিমের সঙ্গে আলোচনা করছি। তার ফিটনেসের ব্যাপার আছে। সে বলেছে আগে দেশে ফিরি, তারপর এগুলো নিয়ে আলাপ করব।’ পাশাপাশি বিশ্বকাপে মাশরাফি বিন মুর্তজাকে মেন্টর করার ব্যাপারেও জানতে চাওয়া হয়েছিল বিসিবির এ পরিচালকের কাছে। তার প্রত্যুত্তরে তিনি বলেন, মাশরাফির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে বোর্ড।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ শুরুর আগের দিন পূর্ব নির্ধারিত সংবাদ সম্মলনে নিজের ফিটনেস নিয়ে কথা বলেছিলেন তামিম। সেটিকে ভালভাবে নেননি প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। এরপর একটি গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তামিমের পেশাদারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন বোর্ড প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন। সেই জেরেই প্রথম ওয়ানডের পর দিন ১৬ বছরের ক্যারিয়ারের ইতি টানার ঘোষণা দিয়েছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১৫ হাজার রানের মালিক। সেটি প্রত্যাহার করায় এখন তামিমের ফিরে আসার অপেক্ষায় ক্রিকেটাঙ্গন।