ক্লাব ফুটবলের হয়ে প্রায় সব শিরোপার স্বাদ পেলেও, দীর্ঘদিন জাতীয় দলের হয়ে ঝুঁলিতে অলিম্পিক ছাড়া আর কিছুই ছিলো না তর্কযোগ্যভাবে সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসির। তাতে সমালোচনার বাণেও বিদ্ধ হতে হয়েছে এই আর্জেন্টাইনকে। রাগে-ক্ষোভে বিদায় বলেছিলেন জাতীয় দলকেও। তবে অবসর ভেঙে ফিরে এসে, ২০২১ সালের এই দিনে মারকানা স্টেডিয়ামে ব্রাজিলকে হারিয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক শিরোপার স্বাদ পেয়েছিলেন মেসি। ঘুচিয়েছিলেন আর্জেন্টিনার ২৮ বছরের শিরোপা খরা। তাতে উরুগুয়ের সাথে যৌথভাবে কোপা আমেরিকার সর্বোচ্চ ১৫টি করে শিরোপা জেতার কীর্তিও গড়েছিলো আলবিসেলেস্তেরা। সেই শিরোপা জয়ের দুই বছর পূর্তি আজ।
২০২১ সালের কোপা আমেরিকার আগে মেসি দেশের হয়ে একটি বিশ্বকাপ ও তিনটি কোপা আমেরিকার ফাইনালে খেলেছেন। প্রতিবারই ফিরেছেন শূন্য হাতে। তাতে আর্জেন্টিনার জার্সিতে মেসির ফাইনাল মানেই হার- এমন একটা ধারণাই তৈরি হয়ে গিয়েছিল। ২০১৪ বিশ্বকাপের ফাইনালে এই মারাকানা স্টেডিয়ামেই জার্মানির কাছে হেরেছিলো আর্জেন্টিনা। সে ম্যাচে খেলতে পারেননি আনহেল দি মারিয়া। অনেক ফুটবল বিশ্লেষকের মতে, দি মারিয়া থাকলে ভিন্ন গল্প হতে পারতো সে ম্যাচের। কোপা আমেরিকার সেই ফাইনালের নায়ক এই দি মারিয়াই। তার একমাত্র গোলেই হয় শিরোপা জেতে আর্জেন্টিনা।
ফাইনালে গোল না পেলেও, পুরো টুর্নামেন্টে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মেসি। ফাইনালের পথে ছয় ম্যাচের চারটিতেই হয়েছিলেন ম্যাচ সেরা। চার গোল আর পাঁচ অ্যাসিস্টে হয়েছিলেন টুর্নামেন্ট সেরা। তবে টুর্নামেন্ট সেরা হওয়ায় নয়, মেসি এই কোপা আমেরিকাকে মনে রাখবেন ভাগ্য বদলানোর মঞ্চ হিসেবে। পরের বছর লা ফিনালিসিমা এবং সর্বশেষ কাঙ্খিত বিশ্বকাপ শিরোপাও জিতে সকল অপূর্ণতা দূর করেছেন মেসি। জিতেছেন বিশ্বকাপের সেরা ফুটবলারের পুরস্কার।
কোপা আমেরিকা জয়ের ২ বছর পূর্তিতে ইনস্টাগ্রামে সতীর্থদের সঙ্গে শিরোপা জয়ের আনন্দ ভাগাভাগি করার ছবি পোস্ট করে প্রথম আন্তর্জাতিক ট্রফি জয়কে স্মরণ করেছেন মেসি। সেখানে ক্যাপশন হিসেবে লিখেছেন, ‘২ বছর’। এই দুই শব্দেই বোধ হয় সব অনুভূতি প্রকাশ করলেন সর্বকালের অন্যতম সেরা এই ফুটবলার।