আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য। শেখ হাসিনার সরকার নির্বাচনকালীন রুটিন দায়িত্ব পালন করবে। পৃথিবীর অন্যান্য গনতান্ত্রিক দেশের মতোই বাংলাদেশের নির্বাচন হবে।নির্বাচন কমিশনকে গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করতে সহযোগিতা করবে।
সোমবার সকালে সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। ইইউ দেশের ৬ জনের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে এসেছে। তারা খুটিনাটি সব বিষয়ে আলোচনা করবেন। ইইউ নির্বাচন অবজার্ভ করবে, ক্লোজলি মনিটরিং করবে। সরকার সবসময়ই নির্বাচনূ পর্যবেক্ষকদের স্বাগত জানায়। নির্বাচন নিয়ে অনেক কথা হয়। সেজন্য নির্বাচনে পর্যবেক্ষক থাকলে ভালো হয়। তারা সরেজমিনে দেখতে পারবেন নির্বাচন কেমন হয়। পর্যবেক্ষকরা নিজেরাই দেখবেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ৪১ ভিয়েনা কনভেনশনের নীতিমালা অনুযায়ী কূটনীতিকরা দায়িত্ব পালন করবেন আমাদের আপত্তি নেই।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, সাক্ষাতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, সংসদ বিলুপ্ত কিংবা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ নিয়ে কথা হয়নি। তারা চায় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, অংশগ্রহণমূলক হোক, গণতন্ত্র আরও ম্যাচিরিউড হোক।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির কোনও ইস্যু নিয়ে কোনও কথা হয়নি। তবে সরকারের উন্নয়ন সমৃদ্ধি নিয়ে কথা হয়েছে। তারা একটি সুন্দর নির্বাচন কামনা করেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ইইউ প্রতিনিধি দল বিএনপি বা কোনও দলকে নির্বাচনে অংশ নেবার বিষয়ে আহ্বান করবে কি-না সেটা প্রতিনিধি দলের নিজস্ব বিষয়।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ️রাজপথে আওয়ামী লীগও আছে, বিএনপি বিক্ষোভে আছে, আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ করছে।