দীর্ঘ ১১ বছর পর মিরপুরে ফিরেছে নারী ক্রিকেট। ভারতের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ দিয়ে হোম অব ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তন হলো নারীদের। তবে দিনটা অবশ্য খুব একটা সুখকর হয়নি বাংলাদেশ নারী দলের জন্য। ভারতের মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে জয়ের প্রত্যাশা খুব একটা না থাকলেও, ম্যাচে কোন ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বীতাই করতে পারেনি নিগার সুলতানার দল। ৭ উইকেটের বড় হার দিয়ে সিরিজ শুরু করলো বাংলাদেশ।
নারী ক্রিকেটের প্রত্যাবর্তন উপলক্ষ্যে দর্শকের জন্য মাঠ ছিলো উন্মুক্ত। তবে মাঠে হাতেগোণা কয়েকজন ছাড়া গ্যালারি ছিলো ফাঁকাই। এমনকি ইলেকট্রনিক স্কোরবোর্ড চলছে না। নেই জায়ান্ট স্ক্রিন। মাঠের কোথাও কোনো বিজ্ঞাপনী হোর্ডিং নেই। তবে ম্যাচ শুরুর আগে দুই দলের ক্রিকেটারদের সঙ্গে দেখা করেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে অভিষিক্ত ক্রিকেটার সাথী রানি ও শামীমা সুলতানা ভাল শুরু এনে দিয়েছিলেন স্বাগতিকদের। ৪.৪ ওভারে ২৭ রানে শামীমাকে ফিরিয়ে উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন ভারতের হয়ে অভিষিক্ত মিন্নু মানি। ৫২ রানে পূজা ভাসত্রাকারের বলে আউট হন রানি। এরপরেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। থিতু হতে পারেননি দুাি অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান সোবহানা মোস্তারি ও অধিনায়ক নিগার সুলতানা। তাতে স্কোরবোর্ডে তিন অঙ্কের সংগ্রহ তোলাটাও পড়েছিলো শঙ্কার মুখে। তবে স্বর্ণা আক্তারের অপরাজিত ২৮ রানের কল্যাণে ভারতকে ১১৫ রানের লক্ষ্য দেয় বাংলাদেশ।
টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে হোঁচট খেয়েছিলো ভারতও। ইনিংসের তৃতীয় বলেই শেফালি ভার্মাকে বিদায় করে বাংলাদেশকে দারুণ শুরু এনে দেন পেসার মারুফা আক্তার। জেমিমা রদ্রিগেজও ফিরেছেন দ্রুতই। তবে স্মৃতি মান্ধানা ও হারমানপ্রীতের ৭০ রানের জুটিতে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ। মান্ধানা ৩৪ বলে ৩৮ রান করে সুলতানার বলে আউট হলেও হারমনপ্রীত অপরাজিত ৫৪ রানের ইনিংস খেলে দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়েন।
১৬.২ ওভারে ৭ উইকেট হাতে রেখে লক্ষ্য টপকে যায় ভারত। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল হারমনপ্রীত কৌরের দল। ম্যাচ সেরার পুরষ্কারও উঠেছে ভারতীয় অধিনায়কের হাতে।