আগামী বিমানবন্দর থেকে তেজগাঁও হযে ফার্মগেট পর্যন্ত উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার সকালে এক্সপ্রসওয়ের কাওলা থেকে তেজগাঁও রেল স্টেশন পর্যন্ত অংশ পরিদর্শন শেষে এ কথা জানান সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী বলেন, কাওলা থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার দৈর্ঘের এক্সপ্রেসওয়ে নির্মিত হচ্ছে সরকারি বেসরকারি অংশীদারত্বে। এতে ব্যয় হচ্ছে ৮,৯৪০ কোটি টাকা। এরমধ্যে বাংলাদেশ সরকার বহন করছে ২,৪১৩ কোটি টাকা। তিন ধাপে প্রকল্পটি সম্পন্ন হচ্ছে। প্রকল্পের সার্বিক কাজের অগ্রগতি ৬৩.২০ শতাংশ।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী আশা প্রকাশ করে বলেন, এক্সপ্রেসওয়ে ফার্মগেট পর্যন্ত চালু হলে রাজধানীতে যানবাহনের চাপ অনেকটা কমে যাবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, রাজধানীর চারপাশে আউটার সার্কুলার নিয়ে ফিজিবিলিটি স্টাডি চলছে। আওয়ামী লীগ সরকারই দেশে প্রথম চট্টগ্রামে বঙ্গবন্ধু টানেল, মেট্রোরেল, পদ্মাসেতু, এক্সপ্রেসওয়ে করছে। পরবর্তী নির্বাচনে যদি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় ফিরে আসে তাহলে আউটার সার্কুলারসহ অন্যান্য পরিকল্পনা সময়মতো বাস্তবায়ন হবে।
এসময় বিএনপিসহ ৩২ দলের এক দফা আন্দোলন নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ৩২ দলের এই জগাখিচুড়ির ঐক্যে এক দফার আন্দোলনের পতন অনিবার্য। যে লক্ষ্য নিয়ে জগাখিচুড়ির এই ঐক্য তাতে ফল আসবে অসহনীয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার যেমন আছে তেমনই থাকবে। তারা একটা ঢেউও তো জাগাতে পারেনি। তাদের আন্দোলনে নেতা কে? ক্যাপ্টেন ছাড়া কি জাহাজ চলবে? এই জগাখিচুড়ি ঐক্যে দফায় দফায় পরিবর্তন হয়। এই ৩২ দল টিকবে কি না তার গ্যারান্টি নেই। আগে তো ছিল ৫৪ দল। এই জগাখিচুড়ি ঐক্যের পতন অনিবার্য।
মার্কিন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের বাংলাদেশে আগমন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, মার্কিন প্রতিনিধি দল আসছে নির্বাচন সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে নয়। তারা রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি জানতে আসছেন। আর ইইউ প্রতিনিধি দল আসছে নির্বাচনে পর্যবেক্ষক দল কীভাবে পর্যবেক্ষণ করবে তা দেখতে।