বগুড়ায় সালিস বৈঠকের সময় ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতিসহ তার পরিবারের পাঁচজনকে কুপিয়ে জখম করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। শনিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে শহরের ফুলবাড়ি দক্ষিণপাড়ায় পৌরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলরের কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটেছে।
হামলায় আহতরা হলেন, ইদ্রিস আলী (৭৮), তার ছেলে বগুড়া পৌরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি কাওছার মিয়া (৪২), মাহামুদ আলী (৩৫), রফিকুল ইসলাম (৫৩) ও তার ছেলে মো. শাওন (২৩)। তাদের সবাইকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এরমধ্যে যুবলীগ নেতা কাওছার মিয়ার অবস্থা আশংকাজনক।
আহত মো. শাওন বলেন, ‘ফুলবাড়ি মৃদ্দাপাড়ায় ১১ শতাংশ জমি নিয়ে স্থানীয় শাহীনুর নামে এক ব্যক্তির সাথে তাদের পারিবারিক দ্বন্দ্ব চলছিল। বিষয়টি সমাধানের জন্য স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাজু হোসেনের কার্যালয়ে সকাল নয়টার দিকে সালিস বৈঠক বসে। এক পর্যায়ে শাহিনুর অকথ্য ভাষায় গালাগাল শুরু করলে আমরা পরিবারের সবাইকে নিয়ে সেখান থেকে চলে আসরা চেষ্টা করি। এসময় বহিরাগত ১০ থেকে ১২ জন দুর্বৃত্ত চাপাতি ও হকিস্টিক নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করে। শাহিনুরও তাদের সাথে গিয়ে আমার চাচা কাওছারকে হত্যার নির্দেশ দেয়। চাচাকে বাঁচাতে গেলে আমাদের সবাইকেও কুপিয়ে জখম করে তারা।’
শাওন আরও বলেন, ‘শাহীনুরের স্ত্রী ওয়ার্ডের সাবেক সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর। এর প্রভাবে তিনি এলাকার প্রায় সবার জমিই দখলের চেষ্টা করেন। কিছুদিন আগেও তিনি বহিরাগত দুর্বৃত্তদের নিয়ে এলাকার মহিলাদের ওপর হামলা করেছিলেন।’
বগুড়া পৌরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাজু হোসেন জানান, ফুলবাড়ি এলাকার ১১ শতাংশ জায়গা নিয়ে কাওছার ও শাহিনুরে মধ্যে ঝামেলা চলছিল। এই নিয়ে শনিবার সকালে সালিস বৈঠক বসানো হয়। বৈঠকের মধ্যেই বাকবিতণ্ডতা শুরু হলে শাহিনুর বহিরাগত কিছু দুর্বৃত্তসহ কাওছার ও তার পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালায়।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত শাহিনুর পলাতক থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি৷
বগুড়া সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুর রউফ জানান, জমিজমার দ্বন্দ্বে পাঁচজনকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে। জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।