দীর্ঘ দুই মাস ২০ দিন বন্ধ থাকার পর ফের চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। সোমবার (৫ জুন) এই বন্দর দিয়ে ৫৬টি ট্রাকে করে ১ হাজার ৬২ মেট্রিকটন পেঁয়াজ আনা হয়। গত ১৫ মার্চ সর্বশেষ এই বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদান্ করা হয়েছিল।
সোমবার বিকেল থেকে পেঁয়াজবাহী ট্রাক বন্দরে প্রবেশ শুরু করে। এদিকে, ভারতের পেঁয়াজ আমদানির খবরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের পাইকারি ও খুচরা বাজারে দাম কমতে শুরু করেছে।
সোনামসজিদ স্থলবন্দর কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার প্রভাত কুমার সিংহ জানান, সোমবার বিকেল থেকেই পেঁয়াজবাহী ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। বর্তমানে আইপি অনুমোদন পাওয়া নথিপত্র দেখেই পেঁয়াজের ট্রাক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।’
পেঁয়াজ আমদানিকারক মাসুদ রানা বলেন, ‘সরকার পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন দেওয়ার পরই আমরা আমদানির কার্যক্রম শুরু করি। সোমবার বিকেল থেকে আমদানি শুরু হয়েছে। কয়েকজন আমদানিকারক পেঁয়াজ আমদানির অনুমোদন পেয়েছে। মঙ্গলবার থেকে পুরোপুরি পেঁয়াজ আমদানি শুরু হবে। আশা করি পেঁয়াজের দাম কমে যাবে।’
সোনামসজিদ স্থলবন্দর পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের পোর্ট ম্যানেজার মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘আমদানির প্রথম দিনে ১ হাজার ৬২ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে আরও বেশি পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি হবে।’
সোনামসজিদ সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ ও পেঁয়াজ আমদানিকারক বাবুল হাসনাত দুরুল বলেন, ‘প্রতি টন পেঁয়াজ ১৫০-২৫০ মার্কিন ডলারে আমদানি করা হচ্ছে।’
গত ১৬ মার্চ থেকে সরকার পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রাখায় পণ্যটির বাজারে অস্থিরতা দেখা দেয়। আড়াই থেকে তিনগুণ বেড়ে যায় দাম। বাজারে ভোক্তা অধিদফতর এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানেও পরও পণ্যটির দামের লাগাম টানা য়ায়নি।
তবে পেঁয়াজ আমদানির খবরে জেলার পাইকারি ও খুচরা বাজারে দাম কমেছে। বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সোমবার পাইকারি বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮০-৮৫ টাকায় এবং খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছে ৯০ টাকায়। মঙ্গলবার পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে পাইকারিতে ৭০ টাকা এবং খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছে ৭২-৭৫ টাকায়।