মহান মে দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে বড় ধরনের শোডাউন করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বিএনপির চলমান আন্দোলনের বিপরীতে ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন জাতীয় শ্রমিক লীগের ব্যানারে এ শোডাউন ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে দলটি।
সোমবার বিকেল চারটায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয় শ্রমিক লীগের সমাবেশ ও আলোচনা সভা হবে। সেখানে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা ।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, বিএনপি শ্রমিক সংগঠনের ব্যানারে কর্মসূচি দিলেও গত কয়েক মাসের আন্দোলনের মতো সংঘাত-সংঘর্ষ ও নৈরাজ্য সৃষ্টির আশঙ্কা থেকেই শ্রমিক লীগ বিশাল সমাবেশের মাধ্যমে রাজপথ দখলে রাখবে।
বিএনপি ও তার মিত্রদের চলমান কর্মসূচির বিপরীতে আওয়ামী লীগও গত বছর ডিসেম্বর থেকে সারাদেশে শান্তি সমাবেশ করে আসছে। রমজান মাস আসায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে রাজনৈতিক কর্মসূচির বদলে দুস্থদের মধ্যে ইফতারি এবং প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করে। এরপর ঈদুল ফিতর সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সারাদেশে ঈদ উপহার দেয় আওয়ামী লীগ ও এর সব সহযোগী-ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন। অবশ্য রোজার মাসেও বিএনপির কর্মসূচি এবং তা থেকে দুয়েকটি জায়গায় সহিংসতার ঘটনা ঘটায় ‘সতর্ক বার্তা’ হিসেবে এক দফা শান্তি সমাবেশ করেছিল আওয়ামী লীগ।
এদিকে, আজকের সমাবেশে ঢাকা মহানগরীর সব থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিট থেকে সর্বোচ্চ সংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিতি নিশ্চিতে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা নির্দেশনা দিয়েছেন। সমাবেশকে বিশাল জনসমাগমে পরিণত করার জন্য ঢাকা মহানগরীর সরকারি দলের সংসদ সদস্য ও জনপ্রতিনিধিদের দেওয়া হয়েছে বিশেষ নির্দেশনা। এ নিয়ে গত কয়েক দিনে জাতীয় শ্রমিক লীগের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের থানা এবং ওয়ার্ডে বিশেষ বর্ধিত সভা ছাড়াও কর্মিসভা করা হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া জানান, ‘বিএনপিকে কোনো ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের সুযোগ দেওয়া হবে না। সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য হলে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে।’
জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক কে এম আযম খসরু বলেন, ‘মহান মে দিবসে রাজধানীতে বড় ধরনের সমাবেশ করা হবে। এটি জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের পাল্টা কোনো কর্মসূচি নয়। তবে বিএনপির নেতাকর্মীরা যাতে কর্মসূচির নামে নৈরাজ্য সৃষ্টির সুযোগ না পান, সে জন্য আমরা রাজপথে থাকব।’