রাজধানীতে রমজানের মধ্যেও গ্যাস সংকটে ভোগান্তি

রাজধানীতে গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানোর পরও বাসা বাড়িতে কাটছে না গ্যাস সংকট। গেল মাসের চেয়ে মাসের চলতি মাসে গ্যাসের সরবরাহ বাড়ানো হয়েছে দৈনিক ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুট। এরপরও সংকট মেটেনি। গৃহিনীরা বলছেন, রমজানের শুরুতে গ্যাসের এমন সংকটের কারণে ইফতার তৈরির সময় ভোগান্তি বাড়ছে তাদের।

পেট্রোবাংলা বলছে, গ্রীষ্মকালে এলএনজির সরবরাহ বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে সংস্থাটি। আগামী জুন মাস অবধি প্রতিদিন গ্রিডে তিন হাজার মিলিয়ন ঘনফুট সরবরাহ করা হবে। সোমবার(২৭ মার্চ) গ্রিডে সরবরাহ করা হয়েছে দুই হাজার ৮৪৮ মিলিয়ন ঘনফুট। এখনও লক্ষ্য পূরণের জন্য প্রায় ২৫২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ বৃদ্ধি করা প্রয়োজন, বলছে পেট্রোবাংলা।

ঢাকা ও আশেপাশে ২৮ লাখের মতো তিতাস গ্যাসের গ্রাহক রয়েছেন, যারা রান্নার জন্য পাইপলাইনের গ্যাসের ওপর ভরসা করেন। এরমধ্যে কোনও কোনও এলাকার গ্রাহকরা গ্যাসের সংকটে পড়েছেন।

রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে গৃহিনীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গ্যাসের সমস্যায় তাদের ভোগান্তি হচ্ছে। শুক্রাবাদ, রায়েরবাজার, মুগদা, সায়দাবাদ, যাত্রাবাড়ী, লালমাটিয়ায় গ্যাসের ঘাটতি প্রকট আকার ধারণ করেছে বলে জানিয়েছেন এসব এলাকার গৃহিনীরা।

তারা বলছেন, গ্যাসের অনেক সমস্যা হচ্ছে। দুপুরের পর গ্যাস চলে যায়, আসে ইফতারের পর। বাসায় ইফতার বানাতে না পারায় বাইরে থেকে কিনে আনতে হয়েছে তাদের।

লালমাটিয়ার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, মাসখানেক থেকে দুপুরের পর গ্যাস থাকে না। দুপুরে গ্যাস যায় আসে ইফতারের পরে। ফলে রোজার মধ্যে সিলিন্ডারের চুলায় ইফতারের ব্যবস্থা করছে তার পরিবার।

তিতাস বলছে, কলকারখানা আর বিদ্যুত খাতে গ্যাস সরবরাহ বাড়ানো হয়েছে। আরেকটু গ্যাসের সরবরাহ বৃদ্ধি করা গেলে গৃহস্থালিতেও সংকট কেটে যেত। তবে পুরো বিষয়টি নির্ভর করছে পেট্রোবাংলার ওপর। সরকারের পক্ষ থেকে চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করার নির্দেশনা রয়েছে বলেও জানিয়েছে তিতাস কর্তৃপক্ষ।

তিতাস আরও বলছে, চাহিদার তুলনায় সরবরাহ আগের চেয়ে ভালো হলেও সব জায়গায় সমানভাবে গ্যাস সরবরাহ করা যাচ্ছে না। ফলে রাজধানীর কিছু কিছু এলাকায় গ্যাসের সমস্যা হচ্ছে। তবে শিগগিরই সমস্যা কেটে যাবে বলে আশা করছে সংস্থাটি।

leave a reply