জাতীয় গণহত্যা দিবসে বিএনপি কোন কর্মসূচি কেন পালন করেনা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে না, তাদের চেতনায় এখনো পাকিস্তান বাস করে। সোমবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, একাত্তরে গণহত্যার অপরাধের জন্য পাকিস্তান এখনো ক্ষমা চায়নি। সেই পাকিস্তানের আস্থাভাজন হলো বিএনপি। একাত্তরের গণহত্যার জন্য একটিবারের জন্যও পাকিস্তান দুঃখ প্রকাশ করেনি, ক্ষমা চায়নি। তারা তিন-চার লাখ মানুষ আমাদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে, তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নেয়নি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি পাকিস্তানের দালাল পার্টি। এদের চেতনায় পাকিস্তান। এদের প্রতিহত, প্রতিরোধ ও পরাজিত করতে হবে। যারা বলে পাকিস্তান আমল ভালো ছিল তারা আসলে পাকিস্তানের সেবাদাস, পাকিস্তানের দালাল। মির্জা ফখরুলকে জঙ্গীবাদি অপশক্তির মুখপাত্র বলেও মন্তব্য করেন কাদের।
সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, বিএনপিসহ কয়েকটি দল গণহত্যা দিবস পালন করে না। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছে আর বেগম জিয়া ও তারেক রহমান শেখ হাসিনাকে হত্যা করতে গ্রেনেড হামলা চালিয়েছিল। বিএনপি জামাতের হাতে গণতন্ত্র নিরাপদ না। তাদেরকে প্রতিহত করতে হবে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তি এখনো বাংলাদেশে রাজনীতি করছে। তারা দেশের সকল অগ্রগতিকে থামিয়ে দিতে চায়। এই অপশক্তিকে রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করতে হবে। দেশে ক্ষমতায় থাকবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি। বিরোধী দলেও থাকবে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি। যারা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে তাদেরকে প্রতিরোধ করতে হবে।
গণহত্যা দিবসের স্বীকৃতি দিতে জাতিসংঘের প্রতি দাবি জানান মায়া।
আলোচনায় অংশ নিয়ে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেন, গণহত্যা থেকে জামাত এবং পাকিস্তানিদের রক্ষা করতে মিথ্যা তথ্য দিয়েছে বেগম জিয়া। বিএনপি জামাত পাকিস্তানের অনুসারী। জামাত ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধ করতে হবে। বিএনপির রাজনীতি নিষিদ্ধ করার সময় এসেছে। তাদের এদেশে রাজনীতি করার নৈতিক অধিকার নেই।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, গণহত্যার ঘটনার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিতে হবে। স্বীকৃতি না পাওয়া পর্যন্ত মাঠে থাকবে আওয়ামী লীগ। বলেন, যারা একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে হাত মিলিয়েছিল, তারা আজও দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র করছে। তারা দেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানাতে চায়। দেশের গণতন্ত্রকে বিনষ্ট করতে চায়।
নাছিম আরও বলেন, যারা রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে দেয় তাদের বিরুদ্ধে গণজাগরণ সৃষ্টি করতে হবে। এই কারসাজিতে কারা জড়িত তাদের খুঁজে বের করার আহ্বান জানান তিনি।
সভায় আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম।