বাউফলে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে সংঘর্ষে পুলিশসহ আহত ২১

পটুয়াখালীর বাউফলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে সংঘর্ষ হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদের সামনের সড়কে সংঘর্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ  সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদার ও নয় পুলিশসহ  কমপক্ষে ২১ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় আবদুল মোতালেব হাওলাদারকে  বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

উপজেলা যুবলীগের নেতা অরিবিন্ধু জানান, পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদারের নেতৃত্ব একটি আনন্দ মিছিল আওয়ামী লীগ কার্যালয় জনতা ভবনের দিকে আসার সময় পুলিশ উপজেলা পরিষদের গেইটের  সামনে বাধা দেয়। এসময় আওয়ামী লীগের সভাপতি আসম ফিরোজ এমপির ভাইয়ের ছেলে যুবলীগ সভাপতি ফয়সাল আহম্মেদ মনির মোল্লার নেতৃত্বে কয়েকশ নেতাকর্মী এসে তাদের উপর দেশী অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা করে। এতে আবদুল মোতালেব হাওলাদারসহ তার অনুসারী গৌতম দাস, অমল চন্দ্র দাস, জাহিদ বক্স, রাজিব, জলিল, পলাশ, রাজা মিয়া, হাসান, বেল্লাল, রিপন, ইমরান গুরুত আহত হন।  

সংঘর্ষের সময় পরিস্থিতি শান্ত করতে পুলিশ ৮-১০ রাউন্ট রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এসময় ইটপাটকেলের আঘাতে পুলিশের ওসি আলম মামুন, এসআই মনিরুজ্জামান, এসআই হুমায়ুন কবির, এসআই  আবুল বশার, এস আই আবুল হাসান, এএসআই শাহিন, কনেস্টবল রাহাত, কনেস্টবল ইত্তি, কনেস্টবল রবিউল আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মোতালেব হাওলাদের হাতে, পেটে ও পায়ে গুরুতর জখম হয়েছে। তাকেসহ তার কয়েক অনুসারীকে প্রথমে বাউফল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে তাদের।

এ ঘটায় শহরে প্রায় এক ঘন্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দুপুর ১২টার দিকে আসম ফিরোজ এমপির নেতৃত্ব শহরে একটি আনন্দ মিছিল বের করা হয়।

বঙ্গবন্ধুর জন্ম দিন উপলক্ষে জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আসম ফিরোজ, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদার এবং জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাউফল পৌরসভার মেয়র জিয়াউল হক জুয়েল আলাদা আলাদা কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এরমধ্যে আসম ফিরোজ ও আবদুল মোতালেব হাওলাদার একই স্থানে আওয়ামী লীগ কার্যালয় জনতা ভবনে কর্মসূচি ঘোষণা করে। এর পর থেকে উত্তেজনা বিরাজ করছিল।

বাউফলের ইউএনও বলেন, ‘দুই পক্ষকেই  সহাবস্থানের অনুরোধ করা হয়েছিল। তারা আমাকে কথাও দিয়েছিলেন শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি  পালন করবেন। কিন্তু তারা কথা রাখেননি। আমি হাতজোড় করে তাদেরকে অনুরোধ করেছি। তারা আমার কথা শুনেননি।’

বাউফল থানার ওসি আল মামুন বলেন, ‘এ কর্মসূচির নিরাপত্তার জন্য শহরে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন ছিল। ঘটনার সময় সংহিসতা মোকাবেলা করতে ৮-১০ রাউন্ট রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়া  হয়। এসময় আমিসহ নয় পুলিশ আহত হয়েছেন।

leave a reply