জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রী হলে চুরির চেষ্টা ও ছাত্রীদের হেনস্থার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের মুখে পদত্যাগ করেছেন বেগম সুফিয়া কামাল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মোঃ মোতাহার হোসেন।
মোতাহার হোসেন পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ার পর হলটিতে নতুন প্রভোস্ট হিসেবে ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি এর অধ্যাপক কে এম আককাছ আলীকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কার্যালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
গত কয়েক দিন যাবৎ পরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলের ভেতর অজ্ঞাত ব্যক্তিরা প্রবেশ করে চুরির চেষ্টা করেছে এবং ছাত্রীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ভয়ভীতি দেখিয়েছে।
গত ১২ মার্চ ভোররাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের আবাসিক হল বেগম সুফিয়া কামাল হল, বেগম খালেদা জিয়া হল এবং শেখ হাসিনা হলে কিছুক্ষণ পরপর কিছু অজ্ঞাত ব্যক্তি প্রবেশ করে। এসময় তারা চুরির চেষ্টা করে। চুরি করতে ব্যর্থ হয়ে ছাত্রীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং হেনস্তা করে তারা।
এর আগে গত সাত মার্চ ভোররাতে শেখ হাসিনা হলেও একই ঘটনা ঘটে। সেসময় ওই হল থেকে ১১’শ টাকা চুরি করে পালিয়ে যায় এক অজ্ঞাত যুবক।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ‘পর পর তিনটি হলে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটার পরও এখন পর্যন্ত কোনও ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন। এতে আতংকে রয়েছেন তারা।
এই ঘটনায় রোববার রাতে শিক্ষার্থীরা হলের নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে ১০ দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। এরপর সোমবার দুপুরে হলগুলোকে সিসিটিভির আওতায় এনে শিক্ষার্থীদের পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা, বহিরাগতদের অবাধ প্রবেশ ও বিচরণ বন্ধ করা এবং নিরাপদ ক্যাম্পাস বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নিতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নূরুল আলম বরাবর স্মারকলিপি দেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সুফিয়া কামাল হলের নবনিযুক্ত প্রভোস্ট আককাছ আলী বলেন, ‘আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কাজ করতে চাই। যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন না হয়, হলের বদনাম না হয় এজন্য আমি শিক্ষার্থীরাসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করছি। আশা করছি, হলে যে ধরনের ঘটনা ঘটেছে সেসবের পুনরাবৃত্তি হবে না।’