পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর অগ্নিসন্ত্রাস, হামলা এবং উস্কানি বিএনপি-জামাতের ২০১৩-১৪-১৫ সালের নৈরাজ্যের মতোই এবং ঢাকা ও লন্ডন থেকে এসব মনিটর করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

রোববার দুপুরে পঞ্চগড়ের বোদায় সন্ত্রাসীদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত আহমদিয়া সম্প্রদায়ের বাড়িঘর পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা বলেন ড. হাছান মাহমুদ।

বোদা উপজেলার আহমদনগরে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের উপর সন্ত্রাসীদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্তদের দেখতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধি দল পঞ্চগড়ের যায়। সে প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।

এসময় বোদার সংসদ সদস্য রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, পঞ্চগড় জেলা সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার সাদাত, পঞ্চগড়ের জেলা প্রশাসক মো: জহুরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার এস এম সিরাজুল হুদা উপস্থিত ছিলেন।

পরিদর্শনকালে তিনি বলেন, ‘পঞ্চগড়ে গন্ডগোল লাগিয়ে সারাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেছিল তারা। আমরা পুলিশ প্রশাসনকে বলেছি, যে বা যারাই এর সাথে যুক্ত থাকুক না কেন, কোন দল বা কোন রং সেটি না দেখে ব্যবস্থা নিতে এবং সে মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

ড. হাছান বলেন, ‘এই জঘন্য হামলা চালানোর আগে থেকেই উস্কানি ছড়ানো হয়েছে। ২০১৩, ১৪, ১৫ সালে যেভাবে সরকারি স্থাপনায় আক্রমণ করা হয়েছিল ঠিক একই কায়দায় আহমদিয়া জামাতের মাহফিলকে কেন্দ্র করে আগে থেকে উস্কানি ছড়ানো হয়েছে। উস্কানি ছড়িয়ে সংগঠিত করে তারপর এই হামলা করা হয়েছে। যারা বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে চায়, ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়, তারা মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে এই হামলা করেছে।’

তিনি বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাঁশের কেল্লা পেইজ থেকে এবং কাদিয়ানিদের বিরুদ্ধে ঐক্যপরিষদের পক্ষ থেকে, রুমিন ফারহানা এবং বিএনপির সাবেক এমপি হারুন অর রশীদের ফেসবুক পেইজ থেকে উস্কানি ছড়ানো হয়েছে। একইসাথে এখানকার যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তার মোটরসাইকেল সংক্রান্ত উস্কানি ছড়িয়েছে, শিবিরের তেঁতুলিয়ার সভাপতি সেও উস্কানি ছড়িয়েছে এবং এখানে যারা যুক্ত ছিল তাদের বেশিরভাগই বিএনপি-জামাতের নেতাকর্মী। তারা ব্যবহার করেছে অন্য ব্যানার, মূলত তারা বিএনপি-জামাতের নেতাকর্মী।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘ধর্মের নামে এভাবে কারো ওপর হামলা করা ইসলাম কোনদিন অনুমোদন করে না। রাসুল (সা.) এভাবে মানুষের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার জন্য কখনো বলেন নাই। এভাবে ইসলামের নামে যারা মানুষের ওপর হামলা করে তারা ইসলামেরও শত্রু। তারা ইসলামের গায়ে কালিমা লেপন করছে। এই শত্রুদের প্রতিহত করার জন্য আমি দেশবাসীকে আহ্বান জানাই এবং তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি বিধান করতে আমরা বদ্ধপরিকর।’

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে পঞ্চগড় জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে শান্তি সমাবেশে যোগ দেন হাছান মাহমুদ।