সাগর-রুনিসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার দাবিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিয়েছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তরে ডিইউজে সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করে চার দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি দেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করে বলেন, ‘সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন দ্রুতই প্রকাশ করা হবে।’
এসময় স্মারকলিপির বিষয়বস্তু তুলে ধরেন ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন। ডিইউজের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী সারাদেশে সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধা ও নানান সমস্যা তুলে ধরেন।
সাংবাদিকদের দাবি-দাওয়া প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তদন্তকারী সংস্থা এই (সাগর-রুনি) হত্যার উপযুক্ত তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণ ছাড়া একটি তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলে তা নিয়ে অবিশ্বাস দেখা দিতে পারে। আমি আশা করছি, অতি দ্রুততম সময়ের মধ্যেই তদন্তকারী সংস্থা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করতে পারবে।
স্মারকলিপি প্রদানকালে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিইউজের সহ-সভাপতি মানিক লাল ঘোষ, যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল আলম, কোষাধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক এ জিহাদুর রহমান জিহাদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রাজু হামিদ, দপ্তর সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাকিলা পারভীন, নির্বাহী পরিষদ সদস্য মহিউদ্দিন পলাশ, আনোয়ার হোসেন।
এর আগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সাগর-রুনিসহ সকল সাংবাদিক হত্যার বিচার দাবিতে প্রতীকি অনশন কর্মসূচি পালন করে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্যরা। কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক বলেন, সারাদেশে বিভিন্ন সময়ে সাংবাদিকরা হামলার শিকার হচ্ছেন। সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের প্রতিবেদন পেছানো হচ্ছে বারবার, আর যেন পেছানো না হয়। শুধু সাগর-রুনি নয়, সাংবাদিক মানিক সাহা, হুমায়ুন কবির বালুসহ সকল সাংবাদিক হত্যাকাণ্ডের বিচার আমরা চাই।
কর্মসূচিতে সভাপতির বক্তব্যে ডিইউজের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী বলেন, গত ১১ বছরেও সাগর-রুনি হত্যার বিচার হয়নি, বারবার পিছিয়েছে। গত ১১ বছরে ১১শ বার আমরা সাগর-রুনিসহ সব সাংবাদিকের বিচারের দাবিতে দাঁড়িয়েছি। কে বিচার করবে? কে করবে তদন্ত আর কে দেবে রিপোর্ট? আমরা আজ পর্যন্ত কোন সুনির্দিষ্ট কাঠামো পাইনি। স্বাধীনতার পর এ পর্যন্ত যত সাংবাদিক হত্যার শিকার হয়েছেন তাদের কোনটির সুষ্ঠু তদন্ত কিংবা বিচার আমরা পাইনি।
ডিইউজের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেনের সঞ্চালনায় অনশন কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি’র সভাপতি মুরসালিন নোমানী, ঢাকা সাংবাদিক পরিবার বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি আল মামুন, বাংলাদেশ ফটোজার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী বোরহান উদ্দিন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক যুগ্ম মহাসচিব জাকারিয়া কাজল, বিএফইউজের সাবেক নেতা শাহনেওয়াজ দুলাল, ডিইউজের সহ-সভাপতি মানিক লাল ঘোষ, যুগ্ম সম্পাদক খায়রুল আলম, কোষাধ্যক্ষ আশরাফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক এ জিহাদুর রহমান জিহাদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক রাজু হামিদ, দপ্তর সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান, কল্যাণ সম্পাদক জুবায়ের চৌধুরী, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাকিলা পারভীন, নির্বাহী পরিষদ সদস্য মহিউদ্দিন পলাশ, আনোয়ার হোসেন, শফিক বাশার, নিউ নেশন ইউনিট প্রধান কাজী জাহিদুল হাসান, আরটিভির ইউনিট প্রধান সাইখুল ইসলাম উজ্জ্বল, দৈনিক করতোয়া ইউনিটের উপ-প্রধান মিজানুর রহমান প্রমুখ।