ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। আন্তঃবিভাগ খেলা চালুসহ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতার বিভিন্ন ইভেন্টে দল পাঠানোর দাবিতে বিক্ষোভ করেন তারা। এতে নির্ধারিত সময়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশ ও বের হতে না পেরে ভোগান্তিতে পড়েন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
রোববার দুপুর ২ টার দিকে প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে প্রায় দেড় ঘন্টা সেখানে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। এরপর বেলা সাড়ে তিনটার দিকে প্রক্টর অফিসে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনায় বসেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ।
শিক্ষার্থীরা জানান, আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় বাস্কেটবল এবং ব্যাটমিন্টন খেলা শুরু হবে ১৩ তারিখ কিন্তু খেলা দু’টির ফাইল এখনো প্রশাসনে আটকে আছে। এখন সবাই দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছে যেতে পারবে কি পারবে না। অথচ আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ইভেন্টগুলোতে দল পাঠানোর জন্য ন্যূনতম এক মাস আগে থেকেই দল গঠন করতে হয়। তারপর অনুশীলনের মধ্যদিয়ে খেলায় অংশগ্রহণ করতে হয়। কিন্তু সেখানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনও দলই গঠন করা হয়নি। এছাড়াও গত তিন বছর করোনার জন্য অভ্যন্তরীণ কোন খেলাধুলা হয়নি। করোনার পরেও প্রশাসন কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করেনি অভ্যন্তরীণ যে খেলাধুলাসমূহ হওয়ার কথা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগগুলোতে চিঠি দিয়ে দিয়ে হ্যান্ডবল, বাস্কেটবল, ব্যাডমিন্টন এবং টেবিলটেনিস খেলাগুলোর ফিকশ্চার তৈরি করা হলেও খেলাগুলোর কোনো কার্যক্রম দেখা যায়নি।
এসময় শিক্ষার্থীরা আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ইভেন্টগুলোতে দ্বিধাহীনভাবে অংশগ্রহণ করার দাবি জানান। এছাড়াও হ্যান্ডবল, বাস্কেটবল, ক্রিকেট, ফুটবল, টেবিল টেনিসহ প্রতিটি খেলা নিয়মিত আয়োজন এবং একটি বাৎসরিক ক্রীড়া সূচি দেওয়ার জোর দাবি জানান তারা।
ইবি ক্রিকেট এসোসিয়েশনের সভাপতি এইচ.এম বুলবুল বলেন, গত বঙ্গবন্ধু চ্যাম্পিয়নশিপে আমাদের বাস্কেটবল টিম চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। আমাদের ভিসি স্যারও প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার নিয়েছিলেন। যেখানে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের রেপুটেশন বাড়ে সেখানে বারবার কেন এই কার্যক্রমগুলো বন্ধ করে দিচ্ছে। তিনি বলেন, এর আগে যখন গেইট বন্ধ করেছিলাম তখন প্রশাসন আমাদের আশ্বাস দিয়েছিল আমাদেরকে নিয়ে প্রক্টর অফিসে মিটিং ও করেছিল। কিন্তু সেই আশ্বাসের এতদিন পরেও আমরা কোনো রেজাল্ট পাইনি। কয়েকদিন পর আন্তঃবিভাগ ক্রিকেট খেলা শুরু হওয়ার কথা কিন্তু সেটিও নাকি বাজেটের কারণে বন্ধ হওয়ার পথে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের পরিচালক ড. সোহেল বলেন, পূর্ণাঙ্গ টিম গঠনের জন্য আমাদের পর্যাপ্ত বাজেট নেই। বিষয়গুলো উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্য স্যারকে জানানো হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদাৎ হোসেন আজাদ বলেন, আমি নতুন দায়িত্ব নিয়েছি। শিক্ষার্থীদের এ দাবির বিষয়গুলো আমাকে জানানো হয়নি। তবে কারো কোন দাবি থাকলে সেগুলো আলোচনার টেবিলে সমাধান করা উচিত। গেইটে তালা দিয়ে দাবি আদায়ের সংস্কৃতি থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।