ঘাতকের মানসিকতা থেকে সরেনি জামায়াত: লিটন

জামায়াতের নেতাকর্মীদের মধ্যে একাত্তরের ঘাতকের মানসিকতা রয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।

বুধবার সকালে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে নগরীর সিএন্ডবি মোড়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল এবং নগরীর টি-বাঁধ সংলগ্ন বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

রাজশাহীতে পুলিশের ওপর হামলার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রাসিক মেয়র বলেন, জামায়াতের রাজনৈতিক নিবন্ধন বাতিল হয়েছে, ভিন্ন নামে তারা আসার চেষ্টা করছে। কিন্তু যে নামে আসুক না কেন তাদের সেই মানসিকতা, একাত্তরের সেই ঘাতকের ভূমিকা ও মানসিকতা পাল্টায়নি। তারা সেই জায়গায় রয়েছে। এখনো তারা ঝটিকা মিছিল, চোরাগুপ্তা হামলা চালাচ্ছে। তাদের বিষয়ে সরকার সজাগ রয়েছে।



লিটন বলেন, ৭৫ পরবর্তী সময়ে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস বিকৃতি করার চেষ্টা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস দেশের মানুষ জানার সুযোগ পেয়েছে।

বীর মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা মোটামুটি চূড়ান্তভাবে প্রকাশ হয়েছে। রাজাকার বা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলমান রয়েছে। এছাড়াও জিয়াউর রহমানের খেতাব বাতিলের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান লিটন।

রাসিক মেয়র আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিুবর রহমানকে হত্যা করে যারা ক্ষমতা দখল করে বা এর সুফলভোগী হিসেবে আমরা যাদের নাম জানি, তাদের বাইরেও আরও যারা পেছনে ছিল, তাদের প্রত্যেকের স্বরূপ উন্মোচন হওয়া দরকার, তাদের জনসম্মুখে আনা দরকার। সে লক্ষ্যে একটি কমিশন গঠনের দাবি উঠেছে, এ ব্যাপারে প্রক্রিয়া চলছে। বঙ্গবন্ধু, জাতীয় চার নেতা ও বুদ্ধিজীবীদের হত্যাকারীরা একই শ্রেণির, তাদের উদ্দেশ্য ছিল একই। তাদের চেহারা উন্মোচিত হওয়া দরকার এবং জীবিত থাকলে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা দরকার।

leave a reply