মাদারীপুরে জমির বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষ ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে মস্তফাপুর ইউনিয়নের সিকিনওহাটা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে চার জন মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। তারা হলেন মস্তফাপুর ইউনিয়নের সিকিনোহাটা এলাকার হাবিব ফকিরের ছেলে রবিউল ফকির (৩৭) আবদুল লতিফ ফকিরের ছেলে হোসেন ফকির (৩৫), শাজাহান শিকদারের ছেলে সাইফুল শিকদার (৩৮), করিম শিকদারের ছেলে বাদল (৪০)।
আহত ও বাদল আর সাইফুলকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সোমবার দুপুরে জমির সীমানা বেশি কাটা নিয়ে বাদল শিকদারের সঙ্গে রবিউল ফকিরের কথাকাটাকাটি হয়। এ সময় স্থানীয়রা দু’পক্ষকে বসিয়ে সালিশ মিমাংসা করে দেয়। এ ঘটনার পরের দিন সকালে জমিতে কাজ করতে যান রবিউল ফকির। এ সময় জমিতে বীচ রোপণ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে ফের কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কটপঘ
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার ডা. জায়িন আরেফিন বলেন, মারামারির ঘটনায় কয়েকজন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আসেন। তারা সবার শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। ভর্তি হওয়া চার জনের মধ্যে দু’জনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের ফরিদপুর মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে।
সংঘর্ষে আহত রবিউল ফকির বলেন, বাদল শিকদারের লোকজন সকালে আমার জমির সীমানা থেকেও বাড়তি জমি কেটে নেয়। পরে বীজ রোপণ শুরু করে। আমি প্রতিবাদ জানালে বাদল আমার লোকজনের ওপর হামলা চালায়। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
অভিযোগের বিষয়ে বাদল শিকদার বলেন, আমি আমার জমির সীমানা কেটে ধানের বীজ বপন করি। জমি আমার তাই আমি আমার ইচ্ছেমত কাজ করবো। কিন্তু রবিউল অন্যায়ভাবে আমাকে বাধা দেন। হামলা সংঘর্ষের সাথে আমার কোনও সম্পৃক্ততা নেই।
মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, জমির সীমানা নির্ধারণ ও বীজ বপন নিয়ে শিকদার ও ফকির বংশের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। হাসপাতাল ও ঘটনাস্থল থেকে আমরা ৪ জনকে আটক করেছি। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।