পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বগা ইউনিয়নের ধাউরাভাঙ্গা গ্রামে একটি ইট ভাটার পরিধি বাড়ানোর জন্য নদী ভরাট করা হচ্ছে। নদী ভরাটের কারণে পটুয়াখালী-ঢাকা রুটের যাত্রীবাহী লঞ্চসহ মালবাহী নৌযান চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে।
স্থনীয়রা জানান, ওই গ্রামের জনবসতিপূর্ণ এলাকায় কয়েকবছর আগে গড়ে তোলা হয় ‘এমবিসি’ নামের একটি ইটের ভাটা। এরপর থেকে ইটের ভাটা সম্প্রসারণের জন্য প্রতিবছর ইট ফেলে লোহালিয়া নদী ভরাট করা হচ্ছে।
ধাউরাভাঙ্গা গ্রামের ব্যবসায়ী ফয়সাল আহমেদ বলেন, ইটভাটা কর্তৃপক্ষ প্রতিনিয়ত ইট ফেলে লোহালিয়া নদী ভরাট করছে। এতে পটুয়াখালী-ঢাকা রুটের লঞ্চ চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। এছাড়াও এই ইটেরভাটা জনবসতিপূর্ণ এলাকায় গড়ে তোলায় পরিবেশ বিষিয়ে উঠেছে।
ঢাকা-পটুয়াখালী রুটের যাত্রীবাহী লঞ্চ সুন্দরবন-১৪ এর সুপারভাইজার আবদুল মালেক বলেন, এমনিতেই নাব্য সংকটের পটুয়াখালী-ঢাকা রুটের যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচলে বিঘ্ন হচ্ছে। এরপর ইটভাটা সম্প্রসারণের কারণে ধাউরাভাঙ্গা চ্যানেলটি হুমকির মুখে পড়েছে। তিনি বলেন, ইটভাটা সম্প্রসারণ বন্ধ না হলে যে কোন মুহূর্তে চ্যানেলটি বন্ধ হয়ে যাবে। আর পটুয়াখালীর সঙ্গে সারাদেশের নৌযোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।
একই রুটের এমভি কুয়াকাটা ও এমভি জামাল লঞ্চের একাধিক স্টাফ লোহালিয়া নদী ভরাট বন্ধ করার জোর দাবি জানান।
ইটভাটার কর্ণধার শহিদ মুন্সি বলেন, ইট ফেলে আমি আমার পৈত্রিক জমি নদী ভাঙ্গণের কবল থেকে রক্ষা করছি। এটা অপরাধ নয়। এতে নৌযান চলাচলে কোনও সমস্যা নেই।
বগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই।
বাউফলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আল আমিন বলেন, ইট ফেলে নদী ভরাট করে ভাটা সম্প্রসারণের কোনও সুযোগ নেই। এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে।