নতুন নজির স্থাপন হল এবারের ফুটবল বিশ্বকাপে। প্রথমবার বিশ্বকাপের নক আউট পর্বে জায়গা করে নিয়েছে সবকটি মহাদেশের দল। একে বিশ্ব ফুটবলের সাম্য বলে অভিহিত করেছেন, ফিফার ‘গ্লোবাল ফুটবল ডেভেলপমেন্ট’ কর্মসূচির প্রধান আর্সেন ওয়েঙ্গার। বিশ্বকাপের শেষ ১৬ তে সব মহাদেশের প্রতিনিধিদের উপস্থিতি, ফিফার এই প্রকল্পের সাফল্য হিসাবে দেখছেন তিনি।
ওয়েঙ্গার বলেন, ‘বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বের খেলা থেকে বোঝা গেছে আরও অনেক দেশ সর্বোচ্চ পর্যায়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য প্রস্তুত। সেই দক্ষতা তারা অর্জন করতে পেরেছে। ভালো প্রস্তুতি ও প্রতিপক্ষের খেলার উন্নত বিশ্লেষণের ফলেই এটা সম্ভব। প্রযুক্তির ব্যবহারও বেড়েছে। এসবই বিশ্বজুড়ে ফুটবলের প্রতিদ্বন্দ্বিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ফিফার প্রচেষ্টার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ।’
২০১৪ সালের বিশ্বকাপের পর এবার আবার আফ্রিকার দুটি দেশ শেষ ১৬-তে জায়গা করে নিয়েছে। দ্বিতীয় রাউন্ডে পৌঁছেছে সেনেগাল ও মরক্কো। ২০১৪ সালে শেষ ১৬-তে জায়গা নিয়েছিল আলজেরিয়া ও নাইজেরিয়া। এ ছাড়া ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, লাতিন আমেরিকা, এশিয়াসহ ফিফার সব মহাদেশের প্রতিনিধিরাই জায়গা করে নিয়েছে বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে।
ফুটবল নিয়ে আগ্রহও আগের চেয়ে অনেক বেশি বলছে ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা। এবার প্রথম ৪৮টি ম্যাচে দর্শক হয়েছে ২৪ লাখের বেশি। সব থেকে বেশি দর্শক হয় লুসাইল স্টেডিয়ামে, আর্জেন্টিনা-মেক্সিকোর ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার সময়। সেদিন লুসাইল মাঠে দর্শক সংখ্যা ছিল ৮৮ হাজার ৯৯৬ জন। এর আগে ১৯৯৪ সালে বিশ্বকাপের ফাইনালে ব্রাজিল ও ইতালির ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার সময় দর্শক ছিল ৯৪ হাজার ১৯৪ জন।
কাতার বিশ্বকাপের সাফল্য নিয়ে উচ্ছ্বসিত ফিফা সংশ্লিষ্টরা। নানা বিতর্ককে ছাপিয়ে কাতার বিশ্বকাপে ধরা দিচ্ছে সাফল্য।