গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ এর নির্দেশনা অনুসারে রাজনৈতিক দলের সকল পর্যায়ে ২০২৫ সালের মধ্যে ন্যূনতম ৩৩ শতাংশ নারী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার দাবি করেছে অপরাজিতা নেটওয়ার্ক ও নারী উন্নয়ন ফোরাম। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে সংঠনটির সুনামগঞ্জ জেলা শাখা।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নিগার সুলতানা কেয়া। প্রিপ ট্রাস্টের উপজেলা সমন্বয়কারী সঞ্জিত দের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন ক্যাপাসিটি বিল্ডিং কোর্ডিনেটর এম, এ, রাজ্জাক, প্রিপ ট্রাস্টের সুনামগঞ্জ জেলা সমন্বয়কারী নজরুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক প্রজেক্ট অফিসার বিশ্বদীপ দত্ত, নারী উন্নয়ন ফোরাম ও অপরাজিতা নেটওয়ার্কের পলাশ ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য অর্চনা দেবী, সুরমা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মাজেদা আক্তার, দক্ষিণ বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের প্রাক্তন সদস্য প্রতিমা রানী দেবী, গৌরারং ইউনিয়ন পরিষদের প্রাক্তন সদস্য জাহানারা প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, ১৯৭২ সালের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯০ অনুচ্ছেদে ২০২০ সালের মধ্যে সকল রাজনৈতিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সকল কমিটিতে ৩৩% নারী সদস্য রাখার কথা থাকলেও ২০২২ সালেও তা বাস্তবায়িত হয়নি।
তাই আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে ৩৩% নারী প্রতিনিধিত্ব রাখার সুস্পষ্ট বিধানসহ পূর্ণাঙ্গ আইন হিসেবে পাশ করে আরপিওতেযুক্ত করার জন্য আহ্বান জানান বক্তারা। এছাড়া জাতিসংঘের ৭৭তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গিকার আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে সকল ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ ৫০ ভাগ নিশ্চিতের দাবী জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে নারী ইউপি সদস্যরা বলেন, ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী সদস্যরা তিনটি ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকলেও একটি ওয়ার্ডের দায়িত্বে থাকা সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্যদের তুলনায় সংরক্ষিত নারী সদস্যরা বরাদ্দ কম পান। এ ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানান সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী ইউপি সদস্যরা।