জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ ব্যবহার করে মহাজগতের নতুন নতুন ছবি প্রকাশ করে আসছে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা। এই ছবি প্রকাশের প্রথম বর্ষপূর্তি উদযাপনের অংশ হিসেবে নক্ষত্র সৃষ্টির নতুন একটি ছবি প্রকাশ করেছে তারা সংস্থাটি। বুধবার প্রকাশিত ছবিটিতে দেখা গেছে মহাজগতে লাল রঙের গ্যাসের ফিনকি ভেসে বেড়াচ্ছে। আর সঙ্গে আছে ধুলার এক উজ্জ্বল কুণ্ডলী। ছবিটির ওপরের দিক থেকে এক-তৃতীয়াংশ জায়গাজুড়ে বিপুল পরিমাণ হাইড্রোজেন গ্যাস আনুভূমিকভাবে ভেসে থাকতে দেখা গেছে। ডান দিকে লম্বালম্বি করেও এ গ্যাস ভাসতে দেখা যাচ্ছে।
রো অফিউচি নামের ক্লাউড কমপ্লেক্স থেকে ছবিগুলো তোলা হয়েছে। রো অফিউচি ক্লাউড কমপ্লেক্স হলো পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের স্টেলার নার্সারি। এটি নতুন নতুন নক্ষত্র গঠনের স্থান হিসেবে পরিচিত। নাসার অ্যাডমিনিস্ট্রেটর বিল নেলসন বলেন, মাত্র এক বছরের মধ্যে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ মহাজগৎকে মানুষের চোখের সামনে ভাসিয়ে তুলতে পেরেছে। এর মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো পৃথিবী থেকে অনেক দূরে অবস্থিত ধূলিমেঘ ও আলোকে অনেক কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে। স্পেস টেলিস্কোপ সায়েন্স ইনস্টিটিউটের জ্যোতির্বিদ ক্রিস্টিন চেন এএফপিকে বলেন, নক্ষত্রটি যে গ্যাস থেকে জন্মেছে, সে গ্যাস ও ধূলিমেঘের মধ্যে বুদ্বুদ তৈরি করছে।
বিল নেলসন আরও বলেন, এগুলো নতুন আবিষ্কারের মতন। এর মধ্য দিয়ে অনেক অজানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাবেন বিজ্ঞানীরা। জেমস ওয়েবের ছবিতে প্রায় ৫০টি নবগঠিত নক্ষত্র দেখা গেছে, যেগুলোর ভর আমাদের সূর্যের মতো কিংবা তার চেয়ে তুলনামূলক ছোট।
২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে জেমস ওয়েব টেলিস্কোপকে মহাকাশে পাঠানো হয়। ২০২২ সালের ১১ জুলাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জেমস ওয়েব টেলিস্কোপে ধারণ করা প্রথম পূর্ণাঙ্গ রঙিন ছবি প্রকাশ করেন। ১ হাজার ৩০০ কোটি বছরের মধ্যে এটি মহাজগতের সবচেয়ে স্পষ্ট ছবি বলে দাবি করা হয়। স্পেস টেলিস্কোপ সায়েন্স ইনস্টিটিউট জেমস ওয়েব টেলিস্কোপটি পরিচালনা করে থাকে। ২০ বছর অভিযান চালানোর মতো যথেষ্ট জ্বালানি জেমস ওয়েব টেলিস্কোপে আছে।