তেলের উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত সৌদি আরবের

প্রতিদিন আরও ১০ লাখ ব্যারেল করে তেল উৎপাদন কমিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব। তাতে তেলের বাজার আবার অস্থিতিশীল হয়ে উঠার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় সৌদি আরবের নেতৃত্বে ১৩-দেশীয় জোট অর্গানাইজেশন অব দ্য পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ- ওপেক এবং সংগঠনটির ১০ মিত্রদেশের মধ্যে বৈঠকের পর এমন ঘোষণা দেওয়া হয়। মিত্রদেশগুলোর নেতৃত্ব দিয়েছে রাশিয়া।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সরবরাহ কমিয়ে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়াতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সৌদি আরবের জ্বালানিমন্ত্রী প্রিন্স আবদুল আজিজ বিন সালমানকে উদ্ধৃত করে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, জুলাই মাসের জন্য উৎপাদন কমানোর এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবেএর মেয়াদ বাড়তে পারে।

ওপেক প্লাস দেশগুলোর প্রতিনিধিরা কয়েক ঘণ্টার আলোচনায় অংশ নেওয়ার পর ‘স্বেচ্ছায়’ উৎপাদন কমানোর এ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। এর আগে গত এপ্রিলে ওপেক প্লাসের বেশ কয়েকটি সদস্যদেশ স্বেচ্ছায় দিনে ১০ লাখ ব্যারেলের বেশি উৎপাদন কমিয়ে দেওয়ার ব্যাপারে সম্মত হয়েছিল। এপ্রিলে উৎপাদন কমানোর ঘোষণার পরও তেলের দাম প্রায় ১০ শতাংশ কমেছে। ব্রেন্ট ক্রুড তেলের দাম কমে ব্যারেলপ্রতি ৭০ ডলারে নেমেছে। ২০২১ সালের ডিসেম্বরের পর এবারই প্রথম ব্রেন্ট ক্রুডের দাম এতটা কমেছে।

রাশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী আলেক্সান্ডার নোভাক বলেন, বর্তমানে উৎপাদন কমানোর যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখার পর ২০২৪ সালের শেষ পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে। বিশ্বের মোট তেলের প্রায় ৬০ শতাংশ ওপেক প্লাস দেশগুলোয় উৎপাদিত হয়। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর থেকে তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো তেলের দরপতন এবং অস্থির বাজার সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছে।

leave a reply