শরীয়তপুরের ডামুড্যায় সম্পত্তি দখল ও হত্যার হুমকির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী এক পরিবার। রোববার (৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে ডামুড্যা রিপোর্টার্স ইউনিটি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করেছেন উপজেলার কনেশ্বর ইউনিয়নের তিনখাম্বা এলাকার ইয়াসমিন আক্তার নামের এক নারী। এসময় তার পরিবারের অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ইয়াসমিন আক্তার জানান, ডামুড্যা উপজেলার ৩২নং কনেশ্বর মৌজায় মৃত তমিজউদ্দীন হাওলাদার ও মৃত আজিতুন বেগমের তিন একর ২০ শতাংশ জমি রয়েছে। এর মধ্যে ১৫১, ১৫২ দাগের ৪৮৭, ৪৯০ খতিয়ানের এক একর ৬০ শতাংশ জমি মৃত আজিতুন বেগমের। পালক ছেলে (ইয়াসমিনের বাবা) মৃত আলী হোসেন হাওলাদারকে ১৯৮৫ সালের ৮ জানুয়ারি এক একর ৬০ শতাংশ জমি দলিল করে দেন আজিতুন। আর বাকি পৈত্রিক সম্পত্তি তিন মেয়ে লক্ষি বিবি, মমতা বেগম, আয়শা বেগম সমান ভাগে পান। কিন্তু ২০০৬ সাল থেকে ওই জমি নিয়ে লক্ষি বিবি এবং ইয়াসমিনদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এ নিয়ে শরীয়তপুর আদালতে দেওয়ানী মামলা হয়। মামলায় ইয়াসমিনদের পক্ষে ২০১১ সালের ১৩ অক্টোবর প্রাথমিক রায় এবং চলতি বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি চুড়ান্ত রায় ঘোষণা করে আদালত।
তার অভিযোগ, লক্ষি বিবি, মমতা বেগম, আয়েশা বেগম নামে তার তিন ফুফু তাকে পৈত্রিক সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করতে জমি দখল করেছে। এছাড়াও তাকে হত্যার হুমকি দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
ইয়াসমিন জানান, তার ফুফু লক্ষি বিবি সেই জমিতে বসতঘর তুলে দখল করে বসবাস করতেন। পরে আদালতের মাধ্যমে গত ১ ডিসেম্বর উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে শরীয়তপুর আদালত থেকে একটি দল, ডামুড্যা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সবিতা সরকার, ডামুড্যা থানার এসআই আসলামসহ পুলিশের একটি দল উপস্থিত ছিলেন।
ইয়াসমিন আরও বলেন, উচ্ছেদ অভিযানের পরেও আদালতের হুকুম অমান্য করে স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহযোগিতায় লক্ষি বিবি গংরা ওই জমির দখল ছাড়ছেন না। বরং তাদেরকে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। এ নিয়ে তারা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন বলেও উল্লেখ করেন।
অন্যদিকে, লক্ষি বিবি ও আয়েশা খাতুন (৬৫) বলেন, আমার বাবা এই সম্পত্তি আমাদের দিয়ে গেছেন। আমাদের কোনও ভাই নেই। এই জায়গা নিয়ে ১৪ বছর ধরে মামলা চলছে। আমরা হাইকোর্টে আপিল করেছি। হঠাৎ করে পুলিশ ও এসিল্যান্ড এসে আমাদের সব কিছু ভেঙে ফেলে। আমরা এখন খোলা আকাশের নিচে আছি।
তারা আরও বলেন, ইউনিয়নের সাবেক (ভারপ্রাপ্ত) চেয়ারম্যান আ: সালাম সিকদার ও স্থানীয় বুলেট খন্দকার আমাদের প্রতিপক্ষের সঙ্গে মিলে জোর খাটিয়ে পৈত্রিক জমি ছেড়ে দিয়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার জন্য আমাদের হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন।
Leave a Reply