মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট না দেয়ায় এক মুক্তিযোদ্ধার ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে পরাজিত প্রার্থী কাজী তোফাজ্জেল হোসেন গেন্দু কাজীকে ভোট দেওয়ায় জয়ী প্রার্থী মৌসুমী হক সুলতানার সমর্থকদের হামলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা আইয়ুব আলী (৬০) গুরুতর আহত হয়েছেন। শনিবার সকালে লক্ষ্মীপুর বাজারে হামলার শিকার হন তিনি।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থী মৌসুমী হক সুলতানার তিনজন সমর্থক এসে আইয়ুব আলীর ওপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং তার সার ও কীটনাশকের দোকান মেসার্স সেলিনা ট্রেডার্সে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। পরে গুরুতর আহত আইয়ুব আলীকে স্থানীয়রা মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মুক্তিযোদ্ধা আইয়ুব আলীর উপর হামলাকারীরা হলেন একই গ্রামের আনী হাওলাদারের ছেলে শহীদুল হাওলাদার, খালেক সরদারের ছেলে জাকির সরদার ও মালেক সরদারের ছেলে রাসেদ সরদার।
মাদারীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুক্তিযোদ্ধা আইয়ুব আলী বলেন, হঠাৎ করে তিনজন লোক এসে কাঠের চলা দিয়ে আমাকে বেদম মারধর করে। আমার ডান হাতের গোড়া, পিঠে ও ঘারে বেধড়ক পিটায়। এতে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়ি। পরে স্থানীয় ও আমার পরিবারের লোকজন এসে আমাকে হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনার পরপরেই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়েছে। তবে পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।
এ ব্যাপারে বিজয়ী চেয়ারম্যান প্রার্থী মৌসুমী হক সুলতানা বলেন, ‘পরাজয় সইতে না পেরে তোফাজ্জেল হোসেন গেন্দু কাজী তার কমী-সমর্থক দিয়ে আমার নামে মিথ্যে ও বানোয়াট কথা বলে বেড়াচ্ছে। ওই মুক্তিযোদ্ধাকে আমার কোনও নেতাকর্মী মারধর করেনি। বরং গেন্দু কাজীর লোকজন মারধর করে আমার লোকদের ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।
কালকিনি থানার ওসি ইসতিয়াক আশফাক বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধার দোকানপাটে হামলা ও ভাঙচুরের বিষয়টি পুলিশ অবগত আছে। এ ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের ধরতে পুলিশের একটি টিম কাজ করছে। হামলাটি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতার একটি অংশ। বিষয়টি পুলিশ খুবই গুরত্বসহকারে দেখবে।’
Leave a Reply