শরীয়তপুরের নড়িয়ার সুরেশ্বর পয়েন্টে জোয়ারের সময় পদ্মা নদীর পানি বিপৎসীমার ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নদীর তীর রক্ষা প্রকল্পের তিনটি ইয়ার্ড প্লাবিত হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকাতেও পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। সোমবার (২৩ আগস্ট) জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের গেজ রিডার শিল্পী এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত ১৩ আগস্ট থেকে পদ্মা নদীর পানি নড়িয়ার সুরেশ্বর পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীতে স্রোতও বেড়েছে। এতে জাজিরায় পদ্মা নদী তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকায় এবং কীর্তিনাশা নদীর বিভিন্ন স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন রোধে জাজিরার ৩৭টি, নড়িয়ার ১২টি, ভেদরগঞ্জের ২২টি, গোসাইরহাটের ১৪টি ও সদর উপজেলার ১৫টি স্থানে প্রায় ৩১ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে বালু ভর্তি জিওব্যাগ ও জিওটিউব ফেলছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এদিকে, নড়িয়া থেকে জাজিরা পর্যন্ত ‘পদ্মা নদীর ডান তীর রক্ষা প্রকল্প’ নামে একটি প্রকল্পের কাজ চলছে। এক হাজার ৪১৭ কোটি টাকার ওই প্রকল্পে ব্যবহারের জন্য নদীর তীরবর্তী ১০টি স্থানে সিসি ব্লক নির্মাণ করা হচ্ছে। পানি বৃদ্ধির ফলে নড়িয়া উপজেলার ঈশ্বরকাঠি, শেহের আলী মাদবরকান্দি ও চেরাগ আলী ব্যাপারিকান্দি এলাকায় সিসি ব্লক নির্মাণের তিনটি ইয়ার্ড প্লাবিত হয়েছে। সাত দিন আগে ওই ইয়ার্ড তিনটি বন্ধ করে তিন শতাধিক শ্রমিককে অন্য জায়গায় সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম আহসান হাবীব বলেন, পদ্মায় পানি বৃদ্ধির কারণে কিছু নিচু স্থানে পানি ঢুকে পড়েছে। তবে লোকালয়ে এখনো পানি প্রবেশ করেনি।
Leave a Reply