তিন সন্তান গ্রহণের নীতি চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়ে আইন পাশ করেছে চীন। শুক্রবার দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তাসংস্থা সিনহুয়া নিউজে চীনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় পার্লামেন্ট ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের এক বৈঠকে দেশটির শীর্ষ আইন প্রণেতাদের সম্মতিতে আইনটি পাশ হয়৷
পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল দেশ চীন গত শতকের সত্তরের দশকে থেকেই এক সন্তান গ্রহণের আইনটি চালু করেছিল। এই আইনের প্রধান উদ্দেশ্যই ছিল জন্মহার নিয়ন্ত্রণের দ্বারা জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ। এই আইনের আওতায় যদি কোনো দম্পতি একজনের বেশি সন্তান নিতেন, তাহলে সেই দম্পতিকে আর্থিক জরিমানাসহ পড়তে হতো নানা হয়রানিতে৷
দীর্ঘদিন এই আইনটি চালু রাখার কারণে একসময় দেশটিতে জন্মহারের ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করে। বয়সের অনুপাতে জনবিন্যাসের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার উপক্রম শুরু হয় এবং সেই সাথে কর্মক্ষম যুবশক্তির পরিমাণ ও ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়।
এরপর ২০১৬ সালে চীন সেই আইনটি সংশোধন করে দুই সন্তান নীতি চালু করে; কিন্তু সেই আইন পরিবর্তন করা হলেও নিম্নমুখী জন্মহারের সেই রেখচিত্রটি কাঙ্খিতমাত্রায় আর ঊর্ধ্বমুখী করা যায়নি।
এর ফলে, আইনে পুনরায় পরিবর্তন আনতে চলতি বছরের মে মাস থেকে তিন সন্তান নীতি চালুর আলোচনা শুরু হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার সেটি আইনে পরিণত হয়েছে।
এনপিসির আইন প্রণেতারা শুক্রবার নতুন এই আইন প্রণয়নের পাশাপাশি বৈঠকে সন্তান জন্মদানকালীন মাতৃত্ব ও পিতৃত্ব ছুটি বাড়ানোর জন্য, চাকরিতে নারীদের অগ্রাধিকার ও শিশুর যত্ন এবং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর যত অবকাঠামোগত (চাইল্ডকেয়ার) কাজ রয়েছে সেগুলো উন্নয়নের প্রস্তাবও অনুমোদন করেছেন৷
Leave a Reply