অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভা হয়েছে। ১৫ অগাস্ট বঙ্গবন্ধু পরিষদ, অস্ট্রেলিয়া এই উদ্যোগ নেয়। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি ড. রতন কুন্ডু। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সুফিউর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন দূতাবাসের কনসাল জেনারেল খন্দকার মাসুদুল আলম।
এতে ঢাকা থেকে যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম। আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন ম্যাকুউরি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের প্রাক্তন ডিন এমিরিটাস অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই পবিত্র ধর্ম গ্রন্থ কোরআন, গীতা ও ত্রিপিটক থেকে পাঠ করেন ড. নজরুল ইসলাম, পূরবী পারমিতা বোস ও জিনাশীষ বড়ুয়া। দোয়া পাঠ পরিচালনা করেন ড. নজরুল ইসলাম।
বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের পর ৭৫ এর ১৫ আগস্ট নিহতদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে সবাই দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। এরপর বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনান।
এরপর বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ আব্দুস সোবহান, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি এমদাদ হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মুস্তাফিজ তালুকদার মঞ্জু, ওয়েস্টার্ন সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওশেন গভর্নেস বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. দাউদ হাসান, একই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক ড. কাইয়ুম পারভেজ, গ্রিফিথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মোয়াজ্জেম হোসেন, ক্যানবেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. আবু তাহের মল্লিক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ অস্ট্রেলিয়ার সভাপতি ড. সিরাজুল হক, বাসভূমির কর্ণধার আকিদুল ইসলাম, মাতৃভাষা সংরক্ষণ আন্দোলনের পুরোধা শ্রী নির্মল পাল, বিডি হাবের সভাপতি কৃষিবিদ আবুল সরকার, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জাকারিয়া আল মামুন স্বপন, মেলবোর্ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোল্লা মোহাম্মদ রাশেদুল হকসহ অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন রাজ্য থেকে যোগদানকরা নেতৃবৃন্দ।
প্রধান অতিথির ভাষণে হাইকমিশনার সুফিউর রহমান প্রতিবছর শোকদিবস পালনের জন্য বঙ্গবন্ধু পরিষদ অস্ট্রেলিয়াকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসের পাতায় বঙ্গবন্ধুর অবদান স্বর্ণাক্ষরে লিখিত থাকবে। তিনি বলেন হত্যাকারীরা বঙ্গবন্ধুর আজন্ম লালিত স্বপ্ন, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষ চেতনা ও আপামর বাঙালির সামাজিক ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তাকে ধ্বংস করে বাংলাদেশকে একটি মৌলবাদী রাষ্ট্রে পরিণত করতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা তা করতে সমর্থ হয়নি।
কনসাল জেনারেল খন্দকার মাসুদুল আলম জাতির পিতা ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হলেও তাঁকে কখনো বাঙালি জাতির হৃদয় থেকে মুছে ফেলা যাবেনা। তিনি শোককে শক্তিতে পরিণত করার মাধ্যমে জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সোনার বাংলা গড়তে সবাইকে একযোগে কাজ করার অনুরোধ জানান।
Leave a Reply