সাদামাটা অভিষেক হতে হতেই হয়ে গেল রাজকীয় শুরু। বাংলাদেশের বিপক্ষে অভিষেক ম্যাচেই হ্যাটট্রিক করলেন অস্ট্রেলিয়ার পেসার নাথান এলিস। বাংলাদেশি ইনিংসের শেষ তিন বলে তিন উইকেট তুলে নেন তিনি। এদিন প্রথম তিন ওভারে বেশ খরুচে ছিলেন এলিস। কিন্তু নিজের শেষ ওভারের তিন বলেই বাজিমাত করলেন ২৬ বছর বয়সী এই অস্ট্রেলিয়ান পেসার। বাংলাদেশেরও রান বাড়ানোর তাড়ার সুযোগ নিয়ে অভিষেকেই হ্যাটট্রিক তুলে নিয়ে রেকর্ড বইতে নাম লেখালেন তিনি।
তার দুর্দান্ত বোলিংয়ে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১২৭ রানে থামে বাংলাদেশ। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর অর্ধশতকের ওপর ভর করে ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২৭ রানের পুঁজি সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। হ্যাটট্রিকের পথে এলিসের প্রথম শিকার মাহমুদউল্লাহ। হাফসেঞ্চুরিয়ান এই ব্যাটসম্যানকে পরিষ্কার বোল্ড করেন তিনি। পরের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ক্যাচ হন মোস্তাফিজুর রহমান। শেষ বলটি পুল করতে গিয়ে ডিপ স্কয়ারে ক্যাচ দেন মেহেদী হাসান। ফলে প্রথম তিন ওভারে মার খাওয়া এলিসই শেষ পর্যন্ত হ্যাটট্রিক করে ইতিহাসের পাতায়।
টি-টোয়েন্টিতে অভিষেকে কোনো বোলারের প্রথম হ্যাটট্রিক এটি। সবমিলিয়ে টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের ১৭তম হ্যাটট্রিকের মালিক এলিস। অন্যদিকে বাংলাদেশের বিপক্ষে এই ফরমেটে কোনো বোলারের চতুর্থ হ্যাটট্রিক হলো আজ। ওয়ানডেতে অভিষেকে এ পর্যন্ত চারজন অভিষেকে হ্যাটট্রিকের দেখা পেয়েছেন। তারা হলেন বাংলাদেশের স্পিনার তাইজুল ইসলাম, দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার কাগিসো রাবাদা, শ্রীলঙ্কার স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও পেসার শেহান মাধুশঙ্কা।
এছাড়া টেস্ট অভিষেকে ১৯৩০ সালে ক্রাইস্টচার্চে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকে হ্যাটট্রিক করেন ইংল্যান্ডের সাবেক পেসার মরিস অ্যালম। ১৯৭৬ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে অভিষেকে একই নজির গড়েন নিউজিল্যান্ডের সাবেক অফ স্পিনার পিটার পেথেরিক। ১৯৯৪ সালে রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেকে হ্যাটট্রিক করেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক পেসার ডেমিয়েন ফ্লেমিং।
Leave a Reply