ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরে তানজিনা (২২) নামের এক গৃহবধূকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সকালে এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর নিহতের স্বামী সুহেল মিয়াসহ পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে মরদেহ রেখে পালিয়ে গেছে। তানজিনার মা স্বপ্না জানান, সকাল সাড়ে নয়টার দিকে সুহেল মিয়া তাদেরকে মুঠোফোনে জানায় তানজিনা গলায় ফাঁস দিয়েছে। তাকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তানজিনা মারা যাওয়ার পর হাসপাতালে রেখে সোহেলসহ সবাই পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, বিয়ের পর থেকে সাংসারিক বিভিন্ন কারণ নিয়ে তানজিনাকে শ্বাশুড়ি ও ননদরা মিলে মারধর করতেন। সুহেল এর আগে সামিয়া নামের অন্যেএকটি মেয়েকে বিয়ে করেছিল। তাদের ঘরে সাত বছর একটি ছেলে সন্তান ছিল। তারা জানতেন না যে সুহেল আগে বিয়ে করেছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়ছিল। তিনি মেয়ে হত্যার বিচার দাবি করেন।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, চার বছর আগে দুই লাখ টাকার কাবিনে শহরের পশ্চিম মেড্ডায় আইয়ুব আলীর ছেলে সুহেল মিয়ার সাথে কসবা উপজেলার বাদৈর ইউনিয়নের শিকারপুর গ্রামের ওমর ফারুকের মেয়ে তানজিনার বিয়ে হয়। তাদের তিন বছরের একটি ছেলে সন্তান আছে। বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে যৌতুকের টাকা ও নানান সমস্যা নিয়ে টানাপোড়েন চলছিল। এনিয়ে প্রায়ই শ্বাশুড়ি ও ননদরা তানজিনাকে মারধর করতেন। ধারণা করা হচ্ছে এরই জেরে সুহেল তার স্ত্রীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন৷ পরে মুহূর্ষু অবস্থায় তাকে সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে তানজিনা মারা গেলে তার স্বামী সুহেলসহ পরিবারের সবাই মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায়।
সদর মডেল থানার ওসি এমরানুল ইসলাম বলেন, হাসপাতাল থেকে জানা গেছে, এক গৃহবধূর মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে গেছে তার স্বামী। পরে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়।
তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে কাজ চলছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে না আসা পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না৷
Leave a Reply