পৃথিবীতে পাঁচটি প্রাণঘাতী পাখি রয়েছে। যেগেুলোর সম্পর্কে জানলে যে কারও চক্ষু চড়ক গাছ হতে পারে! প্রিয় পাঠক, চলুন এসব প্রাণঘাতী পাখিগুলো চিনে রাখি।
ক্যাসোয়ারিঃ
অস্ট্রেলিয়ান এই প্রাচীন প্রাণীটি দেখতে আপনার অনেক সুন্দর লাগতে পারে কিন্তু তার কাছে যাবার আগে আপনাকে শতবার ভাবতে হবে কারণ এই প্রাণীর ওজন হয় ৮০ কেজি আর এটি পাঁচ ফুট উঁচু হয়ে থাকে। ক্যাসোবেরি হলো অস্ট্রেজ এর পরে পৃথিবীতে দ্বিতীয় বৃহৎ পাখি। ক্যাসোয়ারি লাথি মেরে তার প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করে। এটি লাথি মারলে হাড্ডি ভেঙে যেতে পারে। এই প্রাণীটি তার এলাকা নিয়ে অনেক সংবেদনশীল হয়ে থাকে। ১৯২৬ সালের দিকে মারবিন হ্যায়োস নামের এক ব্যক্তি তার পালিত ক্যাসোয়ারির আক্রমণে মারা গিয়েছিল।
অস্ট্রেলিয়ান ম্যাগপাইঃ
ক্যাসোবেরির পরে অস্ট্রেলিয়ান ম্যাগপি পৃথিবীর দ্বিতীয় বিপজ্জনক পাখি। এই প্রাণীটি তার প্রজননের সময় অনেক বেশি আক্রমনাত্মক হয়ে উঠে। সে সময় পাখিটি নিজের বাসা রক্ষার জন্য যেকোনও প্রাণীর সাথে লড়াই শুরু করে। এই প্রাণী মানুষের বাসস্থানের কাছাকাছি নিজেদের বাসা বানায়। ফলে অনেকবারই তাদের মানুষের উপর আক্রমণ করতে দেখা গেছে। এর আক্রমণ অস্ট্রেলিয়ায় এত বেশি যে দেশটির সরকার মানুষকে ম্যাগপির ব্রিডিং সিজনের সময় বাড়ি থেকে ছাতা নিয়ে বের হবার পরামর্শ দেয় যেন তারা পাখির আক্রমণ থেকে বাচঁতে পারে।
সাউথিয়ান জিয়ান্ট পেট্রোলঃ
এই পাখিটির নাম সাউথিয়ান জিয়ান্ট পেট্রোল। পাখিটিও অনেক আক্রমণাত্মক। এর আকৃতি ছয় ফুট এবং প্রতি ঘন্টা ৭২ কিলোমিটার বেগে উড়ার সক্ষমতা আছে এর। এটি তার শিকারকে অনেক ক্ষিপ্রতার সাথে আক্রমণ করতে পারে। এই পাখি পেঙ্গুইন এর বাচ্চার শিকার করে এবং অনেকবার অন্য পাখিকে পানিতে ডুবিয়ে মেরে ফেলার পর তাকে খেয়ে নেয়।
বিয়ারড্রিড ভালচারঃ
বিয়ারড্রিড ভালচার ল্যামার গিয়ার নামেও পরিচিত। এটি পৃথিবীর সবথেকে পুরনো আর বিশাল আকৃতির পাখি। এই পাখির পাখা নয় ফুট লম্বা। এরা বেশিরভাগ প্রাণীর মরদেহ খেয়ে থাকে। এরা হাড্ডি খেতে পছন্দ করে। হাড্ডি ভাঙার জন্য ২৫০ ফুট উপর থেকে নিচে ফেলে আর তার ভেতর থেকে বের হওয়া অংশ বিশেষ খেয়ে নেয়। একইভাবে সে কচ্ছপের শক্ত মাথা ভেঙে থাকে।
Leave a Reply