মাঠ ও মাঠের বাইরে সময়টা ভাল যাচ্ছে না ব্রাজিলের। বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে বিদায়ের পর থেকে এখনো ছন্দে ফিরতে পারেনি দলটি। উল্টো একের পর এক হারে বিধ্বস্ত শিবিরে পরিণত হয়েছে সেলেসাওরা। বিশ্বকাপের পর মরক্কোর কাছে হারের পর গিনির বিপক্ষে জিতলেও আবার হোঁচট খেয়েছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। এবার আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে সেনেগালের কাছে ৪-২ গোলে হেরেছে ভিনিসিউস-রিচার্লিসনরা।
পর্তুগালের লিসবনে ম্যাচের শুরুতেই এগিয়ে গিয়েছিলো ব্রাজিল। ম্যাচের ১১ মিনিটে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের ক্রসে থেকে হেডে লুকাস পাকেতার গোলে লিড নিয়েছিলো সেলেসাওরা। ২২ মিনিটে ফরোয়ার্ড হাবিব দিয়ায়োর গোলে সমতায় থেকে বিরতিতে যায় সেনেগাল। দ্বিতীয়ার্ধের ৫২ মিনিটে মার্কিনিওসের আত্নঘাতী গোলে এগিয়ে যায় সেনেগাল।
৫৫ মিনিটে চোটের কারণে বিশ্বকাপ খেলতে না পারা সাদিও মানের দারুণ এক গোলে বড় জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করে সেনেগাল। তবে ৩ মিনিট পর প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠিয়ে নিজের পাপ মোচন করেন মার্কিনিওস। এরপর বেশ কয়েকবার আক্রমণে উঠলেও জাল খুঁজে নিতে পায়নি দুই দলের কেউই। দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে পেনাল্টি পায় সেনেগাল। সেখান থেকে ব্রাজিলের কফিনে শেষ পেঁরেক ঠুকে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোল তুলে নেন সাদিও মানে।
এ ম্যাচে হারের পর এখান থেকে শেখার কথা বলেছেন ব্রাজিলের অন্তর্বতীকালীন কোচের দ্বায়িত্ব পালন করা র্যামন মেনজেস। নিজেদের ভুল-ত্রুটি শুধরে সামনের ম্যাচগুলোতে ইতিবাচক ফলের প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন তিনি। ২০১৫ সালের পর এই প্রথমবার ২ গোলের ব্যবধানে হেরেছে ব্রাজিল। ২০১৪ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে জার্মানির কাছে ৭-১ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার পর প্রথমবার নিজেদের জালে ৪ গোল হজম করলো পাঁচবারের বিশ্বকাপজয়ীরা।