সাভারে জাবি শিক্ষার্থীদের ওপর ব্যবসায়ীদের হামলা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর দেশি অস্ত্র নিয়ে হামলা করেছে সাভারের রাজ্জাক প্লাজার ব্যবসায়ীরা। হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। মোবাইলফোন মেরামত করাকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষ হয়।

মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে চারটায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে রাজ্জাক প্লাজার তৃতীয় তলায় সিয়াম টেলিকমে এই ঘটনা ঘটে।

আহতদের মধ্যে দু’জন গুরুতর আহত হওয়ায় তাদের সাভারের এনাম মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। গুরুতর আহত হওয়া দুই শিক্ষার্থী হলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ৫১ ব্যাচের শিক্ষার্থী রাশেদুল ইসান ও বাংলা বিভাগের ৫১ ব্যাচের শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ। বাকি পাঁচজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

রাশেদুলের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে এনাম মেডিক্যালের চিকিৎসক মোঃ মিঠুন বলেন, ‘আমরা সিটিস্ক্যান করেছি। মাথায় একটু ক্ষত হয়েছে কিন্তু অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হয়নি। আশা করা যাচ্ছে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবে।’

প্রত্যক্ষদর্শী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় পরিসংখ্যান বিভাগের ৫১ ব্যাচের শিক্ষার্থী বিজয় কুমার বলেন, ‘আমাদের এক বান্ধবীর মোবাইল ফোনের স্ক্রিনের প্রটেক্টর লাগাতে দিই রোববার। এরপর সিয়াম টেলিকমের একজন কর্মচারি প্রটেক্টর লাগিয়ে আনার পর দেখা যায় ফোনের ক্যামেরা ঝাপসা হয়ে গেছে। বিষয়টি নিয়ে তাদের সাথে কথা বলতে গেলে তারা এক পর্যায়ে ধাক্কাধাক্কি শুরু করে। পরে আমাদের বন্ধুদের এবং বড় ভাইদের বিষয়টি জানাই। তারা সেখানে উপস্থিত হওয়ার পরও আমাদের সাথে দুর্ব্যবহার করে। এক পর্যায়ে তারা বের হওয়ার সব পথ বন্ধ করে দিয়ে আমাদের ওপর রড, লাঠি নিয়ে হামলা চালায়। হামলার সময় তারা বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে ধোঁয়া ছড়িয়ে দেয় দোকানের ভিতর।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ‘আমরা বিষয়টি নিয়ে রাজ্জাক প্লাজার মালিক সমিতির সাথে আলোচনা করেছি। এনাম মেডিক্যালের ডাক্তারদের সাথেও আমাদের কথা হয়েছে। আমরা শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করব।’

সাভার মডেল থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়ে আমরা এখানে আসি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

তবে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে রাজ্জাক প্লাজার মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আমি খুবই লজ্জিত যে শিক্ষার্থীদের সাথে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে। আমি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খুঁজে বের করার চেষ্টা করব। যে দোকানদার বা যারা এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটিয়েছে আমি তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করব এবং আহতদের চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয়ভার বহন করব।’

leave a reply