জাতীয় শহীদ মিনারে শেষবারের মতো শ্রদ্ধায় সিক্ত হলেন বরেণ্য লেখক-গবেষক, বুদ্ধিজীবী, শিশু-কিশোর আন্দোলনের পুরোধা ব্যক্তিত্ব, সাংস্কৃতিক সংগঠক ও সাবেক সংসদ সদস্য শহীদজায়া অধ্যাপক পান্না কায়সার।
রোববার (৬ আগস্ট) বেলা ১১টায় তার মরদেহ শহীদ মিনারে আনা হয়। এসময় রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ব্যবসায়িক সংগঠনসহ সর্বস্তরের মানুষ তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান।
শ্রদ্ধা জ্ঞাপন শেষে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, পান্না কায়সারের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। তার আত্মার শান্তি কামনা করি। ১৯৭১ সালে তার স্বামী বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লাহ কায়সার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে নিহত হন। এরপর তিনি সারাজীবন কষ্ট করে সন্তানদের মানুষ করেছেন। পান্না কায়সার একাধারে লেখিকা ও সংগঠক ছিলেন। তিনি খেলাঘরের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। অনেকগুলো গ্রন্থ রচনা করেছেন। তিনি আজীবন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সঙ্গে ছিলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য হিসেবে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমি ধারণা করিনি তিনি এত তাড়াতাড়ি চলে যাবেন। তার অসুস্থতার কথাও শুনিনি। তার মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। এ মৃত্যু অপূরণীয়। আল্লাহ তাকে বেহেশত নসিব করুন।’
আজ (রোববার) শহীদ মিনারে পান্না কায়সারের মরদেহ দুপুর একটা পর্যন্ত রাখা হয়। সেখান থেকে বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে নেওয়া হয়। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে জানাজার নামাজ শেষে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে সমাহিত করা হবে।