রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন দিনব্যাপী শিল্পকর্ম প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় চারুকলা অনুষদের মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের আয়োজনে বার্ষিক শিল্পকর্ম প্রদর্শনী শুরু হয়।
প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ছেলে স্থপতি ময়নুল আবেদিন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করেন মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা।উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার, বিশেষ অতিথি ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ ওবায়দুর রহমান প্রামাণিক এবং মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগ সভাপতি অধ্যাপক ড. নূরুল আমীন।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্থপতি ময়নুল আবেদিন বলেন, ভালো শিল্পী হতে হলে ভালো মনের মানুষ হতে হবে। তাহলে মানুষের কাছ থেকে ভালো প্রতিদান পাওয়া যাবে। বড় কাজ-ছোট কাজ বিষয় না। আজকে এখানে শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের কাজ দেখলাম। অনেক ভালো লেগেছে। আশা করি শিক্ষার্থীরা আরও ভালো কাজ করবে।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেন, এখানে বিভিন্ন শিল্পকর্মে আমরা আমাদের ইতিহাস খুঁজে পাই, আমাদের ঐতিহ্য খুঁজে পাই। আমাদের দরকার একটা শক্ত পাটাতন। আমাদের এই জায়গাটা ধরে রাখতে হবে, যাতে পরবর্তীতে শিক্ষার্থীরা এই ইতিহাস ঐতিহ্য ধরে রাখতে আগ্রহ খুঁজে পায়।
উপাচার্য আরও বলেন, আমাদের দেশে প্রাচীন ঐতিহ্য পাহাড়পুর, মহাস্থানগড় আছে। আমাদের এগুলোর ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং গর্ব ধরে রাখতে হবে। এই জায়গায় চারুকলার সকল অনুষদ যদি একসাথে কাজ করে তাহলে আমাদের ইতিহাস আরও বিনির্মাণ হবে। তিনি সবাইকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান।
এছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. সুলতান উল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ওবায়দুর প্রামাণিক এবং কাজী গোলাম কিবরিয়া।
প্রদর্শনীতে কথা হয় মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষার্থী চন্দ্রিমা সরকারের সাথে। তিনি বলেন, প্রথম বর্ষ থেকে মাস্টার্স পর্যন্ত সবাই প্রদর্শনীতে নিজেদের কাজ জমা দিয়েছে। আমাদের পুরো বছরের সব কাজ এ প্রদর্শনীর মাধ্যমে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। তাই বেশ ভালো লাগছে।
একই দিন বিকেল ৪টায় ‘ডকুমেন্টা ফিফটিন’ বিষয়ে উপস্থাপন করবেন শিল্পী ময়নুল ইসলাম। তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শিল্পকর্ম প্রদর্শন করা হবে বলে জানান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নূরুল আমীন।
প্রদর্শনীতে কাঠ, পাথর এবং সিমেন্টের তৈরি ভাষ্কর্য রয়েছে। এতে ৬১ জন শিক্ষার্থীর তৈরি ৭১টি ভাস্কর্য প্রদর্শিত হচ্ছে। এর মধ্য থেকে সেরা ১০ জন শিক্ষার্থীকে পুরষ্কৃত করবে বিভাগ।