রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের কক্ষে ডেকে নিয়ে এক কর্মচারীকে মারধর করে টাকা ও মুঠোফোন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হল শাখা ছাত্রলীগ দুই নেতার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার দুপুরে সোহরাওয়ার্দী হলের ৩৬৪ নং কক্ষে ওই কর্মচারীকে মারধর করা হয়। ভুক্তভুগী রফিকুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃতি বিভাগের কর্মচারী।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতারা হলেন শহীদ শামসুজ্জোহা হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মমিন ইসলাম এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাজহারুল ইসলাম। মমিন সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশন এবং মাজহার ইনফরমেশন সায়েন্স অ্যান্ড লাইব্রেরি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। দুজনই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনুর অনুসারী।
ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি সকালে বিভাগের কাজকর্ম করছিলাম এসময় বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলামের পরিচয় দিয়ে আমাকে অসুস্থতার কথা বলে ফরম ফিলআপ করার কাগজপত্র নেওয়ার জন্য আমাকে সোহরাওয়ার্দী হলের ৩৬৪ নং কক্ষে ডাকা হয়। আমি সেখানে গেলে রুমের দরজা জানালা বন্ধ করে মমিন এবং মাজহারুল দুজন মিলে আমাকে মারধর করে এবং আমার কাছে থাকা ত্রিশ হাজারের মত টাকা ও আমার মুঠোফোন কেড়ে নেয়।
তবে এই অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে মমিন বলেন, ‘রফিকুল আমার বিভাগের কর্মচারী। তিনি সন্তানের অসুস্থতার কথা বলে আমার কাছ থেকে দুই তিন দিনের কথা বলে পাঁচ হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন কিন্তু দুইমাস পেরিয়ে গেলেও সেটা দিচ্ছিলেন না। টাকার জন্য আমি তাকে ডাকি এবং একসাথে চা খাওয়ার পর টাকাটা চাইলে তিনি বলেন টাকা তো আমি আরেকজনের মাধ্যমে দিয়ে দিয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘”আমি টাকা পাইনি বলার পর রফিকুল ‘তাহলে আমি পরে আপনাকে টাকা দিয়ে দেব একটু সময় দেন।’ তারপর আমি ওনাকে যেতে বললে উনি চলে যায়।”
অভিযোগের বিষয়ে জানতে মাজহারকে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধ্যক্ষ ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ৩৬৪ রুমে সংস্কৃতি বিভাগের কর্মচারী রফিকুল ইসলামকে নিয়ে এসে শহীদ সোরহাওয়ার্দী হলের সহ-সভাপতি মাজহারুল ইসলাম এবং পার্শ্ববর্তী জোহা হলের সাধারণ সম্পাদক মমিন মিলে মারধর করে এবং এক পর্যায়ে তিনি অজ্ঞান হয়ে যান।
তিনি আরও বলেন, রফিকুল ইসলাম লিখিত একটি অভিযোগ দিয়েছেন। আপাতত ৩৬৪ নং রুমটাকে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যায় আমাদের প্রভোস্ট কাউন্সিলের মিটিংয়ের মাধ্যমে এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।