রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কবি আবুল হোসেনের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।মঙ্গলবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মু. শহীদুল্লাহ্ একাডেমিক ভবনের ১৫০ নম্বর কক্ষে সেমিনারে ‘নিরাভরণ মানবব্যক্তিত্ব কবি আবুল হোসেন’ শীর্ষক প্রবন্ধ পাঠ করেন কবি ও সাংবাদিক জুনান নাশিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ এই আয়োজন করে।
সেমিনারে বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সুমাইয়া খানমের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক একেএম মাসুদ রাজা। আলোচক হিসেবে ছিলেন কবি অনীক মাহমুদ ও বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সুজা-উদ্-দৌলা। সভাপতিত্ব করেন বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক শহীদ ইকবাল।
সেমিনারে প্রধান বক্তা জুনান নাশিত বলেন, ‘কবি আবুল হোসেন আবেগকে সংযত করে বুদ্ধির দ্বারা সবকিছু বিচার করতেন। নিজের অবস্থানে তিনি ছিলেন শক্তিশালী। নিজের পথ থেকে তিনি কখনো সরে আসেননি। তিনি যুক্তিবোধে এতটা প্রখর ছিলেন যে অপ্রাসঙ্গিক কোনো কথা বলতেন না। তিনি প্রাজ্ঞসর ব্যক্তিত্বের অধিকারী ছিলেন। তিনি যত্নের সাথে লিখতেন। কম লিখতেন কিন্তু ভালো মানের লিখতেন।’
বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক সনৎকুমার সাহা বলেন, ‘বাংলা সাহিত্যে আবুল হোসেন একজন কৃতি ও গুরুত্বপূর্ণ কবি। বাংলাদেশের কবিতার আলোচনায় সবসময়ই তাঁর নাম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করা হয়। তাঁর ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট্যের জন্য মানুষ তাঁকে মনে রাখবে।’
সেমিনারে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক সফিকুন্নবী সামাদী, অধ্যাপক মনিরা কায়েস, অধ্যাপক শামীমা হামিদ প্রমুখ। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী সেমিনারে উপস্থিত হন।
কবি আবুল হোসেন ১৯২২ সালের ১৫ আগস্ট বাগেরহাটে জন্মগ্রহণ করেন। তার উল্লেখযোগ্য কাব্য ‘নব বসন্ত’, ‘বিরস সংলাপ’, ‘এখনও সময় আছে’, ‘দুঃস্বপ্ন থেকে দুঃস্বপ্ন’। ২০১৪ সালের ২৯ জুন তিনি মৃত্যুবরণ করেন।