রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ঢাকায় নির্বাচন কমিশনে ভবনে বসে সিসিটিভিতে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। কমিশনের মিলনায়তনে অস্থায়ী কন্ট্রোল রুমে সকাল ছয়টা থেকে সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে একইসাথে দু’টি সিটির নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন নির্বাচন কমিশনাররা। সকাল থেকে সেখানে উপস্থিত আছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আহসান হাবিব খান, মো. আলমগীর ও রাশেদা সুলতানা।
ভোটোর সা্র্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে রাশেদা সুলতানা সাংবাদিকদের জানান, তারা এখনো কোনও অনিয়ম পাননি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ভালোভাবে দায়িত্ব পালন করছে। কোথাও কোনও অনিয়মের তথ্য নেই। ভোটার উপস্থিতি বেশ ভালো। সিলেটে দুয়েকটি কেন্দ্রে বৃষ্টির কারণে ভোটার উপস্থিতি কম। তবে বাকি সব জায়গায় ভোটার উপস্থিতি ভালো।
রাশেদা সুলতানা বলেন, নির্বাচন কমিশনের মনিটরিং সেল থেকে কোনও অনিয়ম বা বিশৃঙ্খলার তথ্য আমরা পাইনি। মাঠে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে যোগাযোগ হচ্ছে, এ পর্যন্ত আমাদের কাছে অনিয়মের তথ্য নেই।
রাশেদা সুলতানা আরও বলেন, ইভিএমে ভোট দিতে কোনও জটিলতার অভিযোগ আসেনি। রাজশাহীতে একটি কেন্দ্রে সমস্যা হয়েছিল, সেটা সমাধান হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘তবে ইভিএমে যদি ত্রুটি দেখা দিলে সেটা মোকাবিলা করার সক্ষমতাও আছে। ইভিএমে যদি কোনও ত্রুটি দেখা দেয়, আমাদের ব্যাকআপ মেশিন আছে, কারিগরি টিম আছে। যদি কোনও সমস্যা হয়, আমরা সাথে সাথে সেটি সমাধানের চেষ্টা করবো।’
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ১৫৫টি ভোটকেন্দ্রের ভোটকক্ষ রয়েছে এক হাজার ১৫৩টি। এক হাজার ৪৬৩টি ক্যামেরার মাধ্যমে রাজশাহীর নির্বাচন মনিটরিং করা হচ্ছে। আর সিলেট সিটি করপোরেশনে ১৯০ ভোটকেন্দ্রে ভোটকক্ষ রয়েছে এক হাজার ৩৬৭টি। এই সিটি নির্বাচন এক হাজার ৭৪৭টি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং করছে ইসি।
এছাড়াও উভয় সিটিতে ২৩টি ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ডের মাধ্যমে একইসাথে ৩৬৮টি সিসি ক্যামেরায় দুই হাজার ৫২০টি ভোটকক্ষ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। প্রতি ডিসপ্লে ১০ সেকেন্ড পরপর অটো রোটেড করে ৩৪৫টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। প্রতিটি ভোটকক্ষে একটি করে আর কেন্দ্রপ্রতি দুটি করে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করেছে নির্বাচন কমিশন।